মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন।
এই রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা শরিফ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
পৃথিবীতে ফিরে রাসুল (সা.) পুরো ঘটনা হযরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। মক্কার কাফেররা রাসুল (সা.) মেরাজের ঘটনাকে অবিশ্বাস করলেও তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসুল (সা.) তাকে সিদ্দিকি বা বিশ্বাসী খেতাব দেন।
লাইলাতুল মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাত কাটান। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন। এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মে নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।