০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

লকডাউনে ঝুকি নিয়ে মহাসড়কে মোটর সাইকেলে যাত্রীবহন

  • তারিখ : ১১:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০
  • / 953

তুহিন ভূইয়া।।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই যানবাহনের ব্যস্ততা। এরই মাঝে যাত্রী পরিবহনে মাঠে নেমেছে মোটরসাইকেল। চালকের অধিকাংশদের নেই হেলমেট, মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার পোশাক। অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ন এ ব্যবস্থায় যাত্রীরা দশগুন ভাড়া গুনে চালকের পিছনে উঠে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এ চিত্র কুমিল্লা চান্দিনা এলাকার।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একটি মোটরসাইকেলে দুইজন যাত্রী নিলে চালকসহ তিনজন গাদাগাদি করে বসে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা সবাই। বিষয়টি দেখার জন্য তেমন কেউ নেই।

এমন একজন মোটরসাইকেল চালক আল আমীন বলেন, ‘আমি ট্রাক্টর চালাই, এখন কোন কাজ নাই। রোডে অনেক যাত্রী কিন্তু গাড়ি নাই। তাই মোটরসাইকেল নিয়া বাহির হইছি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালাই। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পাই।’
হেলমেট ছাড়া লুঙ্গি পরা এ চালক আরও বলেন, ‘কোন সমস্যা নাই। করোনার কারণে গাড়ি বন্ধ তাই পুলিশও কিছু কয় না। আমি ভাল চালাইতে পারি এটাই বড় কথা।’

যাত্রী রবিউল বলেন, ‘চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে মাধাইয়া বাজারের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। বাস ভাড়া ৫টাকা। কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল নিচ্ছে ৫০ টাকা।’ সামাজিক দূরত্বসহ সতর্কতার কথা জানাতেই তিনি বলেন, ‘কি করবো, তাড়াতাড়ি যেতে হবে তাই বাধ্য হয়েই উঠেছি।’

এ ব্যপারে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক মিলু বলেন, ‘অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বাইকে চড়া এ মূহূর্তে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বাইকে যাত্রীবহন করলে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনও হতে পারে করোনা আক্রান্ত কোন যাত্রী আগে ওই চালকের সাথে বসেছেন। সেখান থেকে অন্যযাত্রী বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন ভাইরাস।’

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধের পাশাপাশি মহাসড়কে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার গণহারে যেন যাত্রীবহননা করতে পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। কিন্তু মোটরসাইকেলে যাত্রীবহনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো।’

শেয়ার করুন

লকডাউনে ঝুকি নিয়ে মহাসড়কে মোটর সাইকেলে যাত্রীবহন

তারিখ : ১১:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০

তুহিন ভূইয়া।।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই যানবাহনের ব্যস্ততা। এরই মাঝে যাত্রী পরিবহনে মাঠে নেমেছে মোটরসাইকেল। চালকের অধিকাংশদের নেই হেলমেট, মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার পোশাক। অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ন এ ব্যবস্থায় যাত্রীরা দশগুন ভাড়া গুনে চালকের পিছনে উঠে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এ চিত্র কুমিল্লা চান্দিনা এলাকার।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একটি মোটরসাইকেলে দুইজন যাত্রী নিলে চালকসহ তিনজন গাদাগাদি করে বসে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা সবাই। বিষয়টি দেখার জন্য তেমন কেউ নেই।

এমন একজন মোটরসাইকেল চালক আল আমীন বলেন, ‘আমি ট্রাক্টর চালাই, এখন কোন কাজ নাই। রোডে অনেক যাত্রী কিন্তু গাড়ি নাই। তাই মোটরসাইকেল নিয়া বাহির হইছি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালাই। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পাই।’
হেলমেট ছাড়া লুঙ্গি পরা এ চালক আরও বলেন, ‘কোন সমস্যা নাই। করোনার কারণে গাড়ি বন্ধ তাই পুলিশও কিছু কয় না। আমি ভাল চালাইতে পারি এটাই বড় কথা।’

যাত্রী রবিউল বলেন, ‘চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে মাধাইয়া বাজারের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। বাস ভাড়া ৫টাকা। কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল নিচ্ছে ৫০ টাকা।’ সামাজিক দূরত্বসহ সতর্কতার কথা জানাতেই তিনি বলেন, ‘কি করবো, তাড়াতাড়ি যেতে হবে তাই বাধ্য হয়েই উঠেছি।’

এ ব্যপারে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক মিলু বলেন, ‘অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বাইকে চড়া এ মূহূর্তে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বাইকে যাত্রীবহন করলে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনও হতে পারে করোনা আক্রান্ত কোন যাত্রী আগে ওই চালকের সাথে বসেছেন। সেখান থেকে অন্যযাত্রী বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন ভাইরাস।’

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধের পাশাপাশি মহাসড়কে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার গণহারে যেন যাত্রীবহননা করতে পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। কিন্তু মোটরসাইকেলে যাত্রীবহনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো।’