০৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লায় মাদরাসা শিক্ষককে বেধড়ক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

  • তারিখ : ০৭:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / 7808

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এক মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন ওই উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার। আহত ওই শিক্ষককে শুক্রবার পার্শ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আজিজুর রহমান একই ইউনিয়নের বেতরা দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী এবং বেতরা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওই শিক্ষক জানান, পারিবারিক কলহের কারণে ৪ সন্তানের জননী আমেনা আক্তার গত বৃহস্পতিবার সকালে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে দুপুরের দিকে স্থানীয় গ্রামপুলিশ আবদুল মতিন ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যান। শিক্ষক আরও জানান, তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার সময় তার মেয়ে দাখিল শ্রেণির ছাত্রী আরিফাতুন নুর এবং চাচাতো ভাই আবদুস ছামাদকে সাথে নিয়ে যান। চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার পর তার কোন বক্তব্য না শুনেই চেয়ারম্যান লোহা ও কাঠের একটি লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ারম্যানের পায়ে ধরে ক্ষমা চান এবং পরে সেখানে উপস্থিত তার মেয়ে চিৎকার করেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য লোকজনও চেয়ারম্যানকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আহত শিক্ষক জানান, চেয়ারম্যানের এলোপাতারি পিটুনিতে তার পুরো শরীর এবং শরীরের নিন্মাংশে জখম হয়। প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে শুক্রবার তার বড় ভাই একই মাদরাসার শিক্ষক ফজলুর রহমান তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ফজলুর রহমান জানান, কোনো কথা না শুনে বিচারের নামে চেয়ারম্যান পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আমার ভাইয়ের পুরো শরীর জখম করেছে। চিকিৎসা শেষে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মারধর করার বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই শিক্ষকের স্ত্রীর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তাকে মারধর করেছি। তার স্ত্রী থানায় মামলা করলে গ্রেফতার হতো। এলাকার সম্মান যেত। তাই আমি এভাবে কিছু মারধর করে বিচার করেছি। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় মাদরাসা শিক্ষককে বেধড়ক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

তারিখ : ০৭:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এক মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন ওই উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার। আহত ওই শিক্ষককে শুক্রবার পার্শ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আজিজুর রহমান একই ইউনিয়নের বেতরা দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী এবং বেতরা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওই শিক্ষক জানান, পারিবারিক কলহের কারণে ৪ সন্তানের জননী আমেনা আক্তার গত বৃহস্পতিবার সকালে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে দুপুরের দিকে স্থানীয় গ্রামপুলিশ আবদুল মতিন ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যান। শিক্ষক আরও জানান, তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার সময় তার মেয়ে দাখিল শ্রেণির ছাত্রী আরিফাতুন নুর এবং চাচাতো ভাই আবদুস ছামাদকে সাথে নিয়ে যান। চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার পর তার কোন বক্তব্য না শুনেই চেয়ারম্যান লোহা ও কাঠের একটি লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ারম্যানের পায়ে ধরে ক্ষমা চান এবং পরে সেখানে উপস্থিত তার মেয়ে চিৎকার করেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য লোকজনও চেয়ারম্যানকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আহত শিক্ষক জানান, চেয়ারম্যানের এলোপাতারি পিটুনিতে তার পুরো শরীর এবং শরীরের নিন্মাংশে জখম হয়। প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে শুক্রবার তার বড় ভাই একই মাদরাসার শিক্ষক ফজলুর রহমান তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ফজলুর রহমান জানান, কোনো কথা না শুনে বিচারের নামে চেয়ারম্যান পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আমার ভাইয়ের পুরো শরীর জখম করেছে। চিকিৎসা শেষে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মারধর করার বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই শিক্ষকের স্ত্রীর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তাকে মারধর করেছি। তার স্ত্রী থানায় মামলা করলে গ্রেফতার হতো। এলাকার সম্মান যেত। তাই আমি এভাবে কিছু মারধর করে বিচার করেছি। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।