করোনাভাইরাস উপসর্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হওয়া ব্যবসায়ীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসছে এ খবরে গ্রামের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয় অতিউৎসাহী কিছু ব্যক্তি। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের পোশাই গ্রামে।
খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খন্দকার সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে রাস্তা খুলে দেয়। করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়া ব্যবসায়ী শামছুল হক (৩৪) পোশাই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের ৬ সদস্য গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে।
মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে টেলিকম ব্যবসা করতেন শামছুল হক। করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৪ দিন যাবৎ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। রাস্তা বন্ধ করে লাশ গ্রামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাস্তা খুলে দিলে ওই মৃত ব্যবসায়ীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল হান্নান মৃতের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর লাশ দাফনে স্থানীয়রা এগিয়ে না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামিয়া সাইফুলের আদেশক্রমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকওয়া ফাউন্ডেশন তার লাশ দাফন সম্পন্ন করেন।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, রাস্তা বন্ধ করে লাশ আনতে প্রতিবন্ধকতার খবরে আমরা গিয়ে রাস্তা খুলে দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।