কুমিল্লা এসডি নিউজ ডেস্ক :
সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। কাল (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে জেএসসির বাংলা প্রথম পত্র ও জেডিসির কুরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ আসনে বসতে হবে। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি এবং ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেডিসির পরীক্ষা চলবে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। তার মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন আর ছাত্রী ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ জন বেশি। মোট ২ হাজার ৯৮২ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ২৬২ প্রতিষ্ঠান থেকে এসব পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮ হাজার ৬৫১ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন। এবার জেএসসিতে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে। এ বছর বিদেশে মোট ৯টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রসমূহ হলো-জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলি, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাই। বিদেশের কেন্দ্রসমূহের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫৪ জন। পরীক্ষার্থীদের ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ইংরেজি ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত, পালি বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারও পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এ সময়ের পরে হলে প্রবেশ করতে দিলে তার/তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ঐদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। এবারও শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রæতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।