০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার বেপরোয়া বোগদাদ বাসের ধাক্কায় অসহায় ভ্যান চালকের মৃত্যু কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সদর দক্ষিণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের খাদ্য বিতরণ

কুমিল্লা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করল বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা

  • তারিখ : ০৫:২২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
  • / 1135

মেহরাব অপি :

ব্যাংক লোন থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিকদের বেতন আটক রেখে কৌশলে আন্দোলন উসকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেড নামে বিদেশে রপ্তানীযোগ্য একটি জুতা ফ্যাক্টরী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা নামক স্থানে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেড নামক এই জুতা ফ্যাক্টরীটি অবস্থিত। বর্তমানে ফ্যাক্টরীটি ব্যাংক ঋণের বোঝা নিয়ে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় সময় মালিকপক্ষ ব্যাংক ঋণ থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কৌশলে মালিকপক্ষের লোকজন দিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনমুখী করতে বাধ্য করছে। লিজা আক্তার, রাহেলা আক্তার, জেসমিন আক্তার, খোদেজা বেগম, পারভেজ, আলী হোসেন ও মুরাদসহ বহু শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাস মালিক কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধ না করে ২১ অক্টোবর ফ্যাক্টরীটি বন্ধ করে দেয়। ফ্যাক্টরীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। আমরা বেতনের আশায় সকাল বেলায় ফ্যাক্টরীতে এসে জানতে পারি, আমাদেরকে আজকেও বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে না। এসময় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং শ্রমিকদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য জেনারেল ফান্ডের নাম করে আমাদের থেকে প্রতি মাসে ৪’শ থেকে সর্বোচ্চ ৬’শ টাকা করে কেটে রেখে দেয়। পরবর্তীতে কৌশলে মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদেরকে ছাটাই করে দেয়। কিন্তু কেটে রেখে দেওয়া জেনারেল ফান্ডে জমাকৃত টাকা মালিক কর্তৃপক্ষ ফেরত দেয় না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জিল ওয়েয়ার্স নামের বিদেশে রপ্তানীযোগ্য জুতা ফ্যাক্টরীর মালিক জহির উদ্দিন তারেক বেসিক ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ গ্রহণ করে। বর্তমানে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ থেকে বাঁচতে তিনি প্রায় সময় নিজস্ব লোক দিয়ে শ্রমিক আন্দোলন উচকে দিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে কভারেজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আজও নিজস্ব লোক দিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষুদ্ধ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শের বাহাদুরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তাদের দাবির বিষয়ে ফ্যাক্টরী মালিকের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার সমাধান করে দেয়া হবে’।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করল বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা

তারিখ : ০৫:২২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

মেহরাব অপি :

ব্যাংক লোন থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিকদের বেতন আটক রেখে কৌশলে আন্দোলন উসকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেড নামে বিদেশে রপ্তানীযোগ্য একটি জুতা ফ্যাক্টরী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা নামক স্থানে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেড নামক এই জুতা ফ্যাক্টরীটি অবস্থিত। বর্তমানে ফ্যাক্টরীটি ব্যাংক ঋণের বোঝা নিয়ে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় সময় মালিকপক্ষ ব্যাংক ঋণ থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কৌশলে মালিকপক্ষের লোকজন দিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনমুখী করতে বাধ্য করছে। লিজা আক্তার, রাহেলা আক্তার, জেসমিন আক্তার, খোদেজা বেগম, পারভেজ, আলী হোসেন ও মুরাদসহ বহু শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাস মালিক কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধ না করে ২১ অক্টোবর ফ্যাক্টরীটি বন্ধ করে দেয়। ফ্যাক্টরীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। আমরা বেতনের আশায় সকাল বেলায় ফ্যাক্টরীতে এসে জানতে পারি, আমাদেরকে আজকেও বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে না। এসময় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং শ্রমিকদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য জেনারেল ফান্ডের নাম করে আমাদের থেকে প্রতি মাসে ৪’শ থেকে সর্বোচ্চ ৬’শ টাকা করে কেটে রেখে দেয়। পরবর্তীতে কৌশলে মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদেরকে ছাটাই করে দেয়। কিন্তু কেটে রেখে দেওয়া জেনারেল ফান্ডে জমাকৃত টাকা মালিক কর্তৃপক্ষ ফেরত দেয় না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জিল ওয়েয়ার্স নামের বিদেশে রপ্তানীযোগ্য জুতা ফ্যাক্টরীর মালিক জহির উদ্দিন তারেক বেসিক ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ গ্রহণ করে। বর্তমানে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ থেকে বাঁচতে তিনি প্রায় সময় নিজস্ব লোক দিয়ে শ্রমিক আন্দোলন উচকে দিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে কভারেজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আজও নিজস্ব লোক দিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষুদ্ধ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে জিল ওয়্যারস্ লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শের বাহাদুরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তাদের দাবির বিষয়ে ফ্যাক্টরী মালিকের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার সমাধান করে দেয়া হবে’।