দেলোয়ার হোসেন জাকির :
কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনছার আহামেদের আজ ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী। কুমিল্লা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান হাজী তারু মিয়ার তৃতীয় পুত্র বিশিষ্ট রাজনৈতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আহামেদ ২০১৪ সালের ২৪ জুন মঙ্গলবার ইন্তেকাল করেন।
মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় মরহুমের জন্মস্থান কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীর নিজ বাড়িতে পারিবারিক ভাবে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে জানান আনছার আহামেদের পুত্র আনজাম আনছার বাজু। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করা আনছার আহমেদ ৬৬ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চিরস্থায়ী হন।
কংগ্রেস নেতা বাবা হাজী তারু মিয়ার পথ ধরেই রাজনীতির সাথে যুক্ত হন আনছার আহমেদ। ১৯৬৫ সালের দিকে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পরে ছাত্রলীগে যোগদান ১৯৬৯ সালে। ওই বছরই ছাত্রলীগের বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ’৬৯-এ ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। সক্রিয় ভূমিকা রাখেন ’৭০ এর নির্বাচনেও। পরবর্তীতে ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সেখানেও রাখেন অনবদ্য ভূমিকা। যুদ্ধকালিন সময়ে ভারতের মেলাঘরে অবস্থিত ইয়ূথ ক্যাম্পের পলিটেক্যাল মটিভেটরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওই সময়েই আনছার আহমেদ নিজের তত্ত্বাবধানে সাপ্তাহিক প্রতিনিধি নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন। দেশ স্বাধীনের পর দেশ পুনর্গঠনের কাজেও যোগদেন তিনি। তাঁর সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল জানান, স্বাধীনতার পরপরই দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে আনছার আহমেদকে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের একটি অংশ জাসদ গঠন করলে আনছার আহমেদ তখন জাসদের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। দীর্ঘদিন পর এরশাদ ক্ষমতায় আসলে জাতীয় পার্টিতে যোগদেন তিনি। এরশাদের সাথে স্বল্প সময়ে কাছাকাছি গিয়ে ’৮৬ এবং ’৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালন করেন।