কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে হিজড়াদের চাঁদাবাজি থামছেই না

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা পিছিয়ে পড়া নির্যাতিত ও অসহায় এই জনগোষ্ঠীর জন্য যথাযোগ্য প্রাপ্তিই বলতে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে সব ধরনের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, রাস্তা, শপিংমল, সুপারমল, রেস্তোরাঁ, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা চাঁদাবাজি করে না। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দুর্ব্যবহার। এতে অনেকেই বিব্রত হন।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সহ জেলার সর্বত্র হিজড়াদের চাঁদাবাজির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাদের চাঁদাবাজির কারণে অনেক জায়গায়ই লাঞ্চিত হচ্ছে অনেক ভদ্র পরিবার।

সড়কের সিগন্যাল, বাসা-বাড়ি কিংবা বিয়ে বাড়ি। কুমিল্লার সবখানেই হিজড়াদের টাকা তোলা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ ভয়ে কেউ আবার স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু ইদানিং হিজড়াদের আচরণ বদলে গেছে। পাল্টে গেছে তাদের টাকা চাওয়ার ধরনও। আগের দিনের সেই টাকা তোলা এখন চাঁদা আদায়ে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা সহ যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে হিজড়ারা।

‘কই ভাই টাকাটাদে’, ‘লও লও হিজড়াগো টাকাটা লও’, ‘এই দেরি করিসনা টাকা দে’- এইভাবেই উচ্চস্বরে পরিবহন গুলোতে দাপিয়ে বেড়ায় হিজড়াদের দল। কোন যাত্রীর টাকা দিতে দেরি হলে কিংবা টাকা না দিতে চাইলে শুরু করেন দুর্ব্যবহার। এমনকি অনেককে শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত করেন হিজড়ারা।

এমন পরিস্থিতিতে কেউ সম্মানের কথা ভেবে টাকা দিয়ে দেন। আবারও কেউ প্রতিবাদও করেন। তবে হিজড়াদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে কেউ কথা বলছেন না। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একদল হিজড়া পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। এ ছাড়া নগরবাসীর জন্ম, বিয়ে বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠান কোনো কিছুই হিজড়াদের চাঁদার হাত থেকে রেহাই পায় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সহ বিভিন্ন এলাকায় বাসে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। প্রশাসনিক ভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এরা। সূর্য উঠার সাথে সাথে একদল হিজড়া সাজগোজ করে বিভিন্ন মোড়ে দুইজন কিংবা তিনজন দলবেঁধে অবস্থান নেয়। এরপর রিকসা কিংবা বিভিন্ন বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।

যমুনা পরিবহন বাসের এক যাত্রী বলেন, বিশ্বরোডে যে কোনো বাস থামলেই তারা গ্রুপ নিয়ে উঠে যান। গাড়িতে উঠার পরপরই টাকা চাচ্ছে, না দিলে আবার খারাপ ব্যবহার করছে। তাদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদের দেখার যেন কেউ নেই!

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!