কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলায় এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবী হত্যা করা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর নাম ফারজানা আক্তার। সে দুই সন্তানের জননী। উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিন মডেল থানায় এক সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মৃতদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, সদর দক্ষিন উপজেলার চৌয়ারা এলাকার কোন্দারঘোড়া গ্রামের অদুদ মিয়ার পুত্র রাজমিস্ত্রী রাসেল মিয়ার সাথে একই উপজেলার কমলপুর এলাকার ফিরিঙ্গীরহাট গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তারের কন্যা ফারজানার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে নানা অজুহাতে ফারজানার পরিবারের নিকট টাকা চেয়ে আসছে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফারজানার পরিবার টাকা দিয়ে আসছে।
গত কিছুদিন পূর্বেও রাসেল বিদেশ যাওয়ার জন্য দুই লক্ষ টাকা দাবী করলে ফারজানা পিত্রালয়ে গিয়ে কান্নাকাটি করলে স্বজনরা গত শুক্রবারে ছেলের বাড়ীতে গিয়ে তাদেরকে টাকা দেওয়ার আশ্বাসে সমঝোতা করে আসে। ঘটনার একদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকালে মেয়ের বাড়ীতে ফোন দিয়ে জানায় মেয়ে মারা গিয়েছে।
ফারজানার ছোট ভাই খোরশেদ আলম জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত কোন্দারহাট গ্রামে গেলে সেখানে গিয়ে দেখি অনেক লোক জমাটবদ্ধ। সেখানে আমাকে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি যেন থানা পুলিশকে না জানাই সেই জন্য দুই লক্ষ টাকার কথা বলে আমি টাকা নিতে চাইনি। আমার বোন কিভাবে মারা গিয়েছে তার সঠিক তথ্য জানতে চেয়েছে। টাকার জন্য আমার বোনকে প্রায় সময় রাসেল ও তার দুই বোন নির্যাতন করতো। এ ব্যাপারে কয়েকবার শালিশ বৈঠক হয়েছে। অভি (৭) ও ফারিয়া (২) ভাগিনা ও ভাগ্নি রয়েছে তাদের কি হবে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
সদর দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।