০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

কুমিল্লায় ডাক্তারের অপচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মৃত্যুশয্যায়

  • তারিখ : ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / 470

সাইফুল ইসলাম ফয়সাল :

কুমিল্লা মহানগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে মুত্রনালী অপারেশন করতে গিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ন ইনজেকশন পুশ করায় রোগীর শরীর ঝলসে যায়, তরিগরি করে হাসপাতাল থেকে অন্যত্রে স্থানান্তর। সরেজমিন ঘুরে জানা যায় কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলা তাসলিমা মের্টানিটি ক্লিনিকে।

গত ২৭ই জুন দুপুর ১২ টায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ইউনুস ভূঁইয়া (৫৫) কে কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলা শহীদ সামসুল হক সড়কের তাসলিমা মের্টানিটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসে ইউনুস ভূঁইয়ার স্বজনরা।

তখন হাসপাতালের কর্তব্যবরত ডাক্তার ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম হাসান কে দেখাতে আসেন, ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রোগীর স্বজনদের জানান আপনাদের রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক আমাদের হাসপালে ভর্তি করান। কিছুক্ষন পরই অস্ত্রপ্রচার করা হয় রোগীর মুত্রনালীতে চিকন পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

একেক করে পাঁচ ছয় টি ইঞ্জেকশন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু ইনটিবায়োটিক ঔষধ সেবন করানো হলে, দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর রোগীর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। তার মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে,এক পর্যায় রোগীর চামড়া ঝলসে উঠে যায়।

রোগী চিৎকার করতে থাকলে তাকে আবারো ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় এবং রোগীর স্বজনরা আত্মচিৎকার করতে থাকলে ডাক্তার বলেন আপনারা শান্ত হউন এখানে চিকিৎসা হবে, এ কথা বলে ডাক্তার হাসপাতাল ত্যাগ করে চলে যান। ৩,জুন রাত সাড়ে ১২ টায় ইউনুস ভূঁইয়া অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দেওয়ায় ডাক্তার হাসপাতালে আসেন, এক পর্যায় রোগী যখন মৃত্যর প্রহর গুনছে ডাক্তার হাসান রোগীর স্বজনদের বলেন এখনি রোগীকে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ সময় রোগীর স্বজনরা বলেন ডাক্তার সাব যত টাকা লাগে আমরা দিবো সু-চিকিৎসা দিয়ে ভালো করে দেন। রাত ২ টায় রোগীর স্বজনদের উপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উত্তেজিত হয়ে বলেন এ রোগীকে এক্ষনই হাসপাতাল থেকে সরান, তখন ইউনুস ভূঁইয়ার বড় ভাই আমীর আলী মুঠো ফোনে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাকে অবহিত করলে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে এসে বিস্তারিত জানতে পারে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উন্নত চিকিৎসা না পেলে এই রোগী যেকোনো সময় মৃত্য হতে পারে। ওই সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও উপস্থিত হন। শুক্রবার রাতেই রোগীকে জোড় পূর্বক বের করে দেওয়া হলে স্বজনরা তখন একটি এম্বুল্যান্স ভাড়া করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তাররা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করেন।

এ সমস্ত তথ্যগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইউনুস ভূঁইয়ার বড় ভাই আমীর আলী, ছেলে ইমাম হোসেন। এ ব্যাপারে ওই রোগীকে চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার এ কে এম হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অপারগতা পোষন করেন। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা মামলা করবে বলে জানান।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় ডাক্তারের অপচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মৃত্যুশয্যায়

তারিখ : ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

সাইফুল ইসলাম ফয়সাল :

কুমিল্লা মহানগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে মুত্রনালী অপারেশন করতে গিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ন ইনজেকশন পুশ করায় রোগীর শরীর ঝলসে যায়, তরিগরি করে হাসপাতাল থেকে অন্যত্রে স্থানান্তর। সরেজমিন ঘুরে জানা যায় কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলা তাসলিমা মের্টানিটি ক্লিনিকে।

গত ২৭ই জুন দুপুর ১২ টায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ইউনুস ভূঁইয়া (৫৫) কে কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলা শহীদ সামসুল হক সড়কের তাসলিমা মের্টানিটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসে ইউনুস ভূঁইয়ার স্বজনরা।

তখন হাসপাতালের কর্তব্যবরত ডাক্তার ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম হাসান কে দেখাতে আসেন, ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রোগীর স্বজনদের জানান আপনাদের রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক আমাদের হাসপালে ভর্তি করান। কিছুক্ষন পরই অস্ত্রপ্রচার করা হয় রোগীর মুত্রনালীতে চিকন পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

একেক করে পাঁচ ছয় টি ইঞ্জেকশন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু ইনটিবায়োটিক ঔষধ সেবন করানো হলে, দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর রোগীর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। তার মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে,এক পর্যায় রোগীর চামড়া ঝলসে উঠে যায়।

রোগী চিৎকার করতে থাকলে তাকে আবারো ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় এবং রোগীর স্বজনরা আত্মচিৎকার করতে থাকলে ডাক্তার বলেন আপনারা শান্ত হউন এখানে চিকিৎসা হবে, এ কথা বলে ডাক্তার হাসপাতাল ত্যাগ করে চলে যান। ৩,জুন রাত সাড়ে ১২ টায় ইউনুস ভূঁইয়া অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দেওয়ায় ডাক্তার হাসপাতালে আসেন, এক পর্যায় রোগী যখন মৃত্যর প্রহর গুনছে ডাক্তার হাসান রোগীর স্বজনদের বলেন এখনি রোগীকে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ সময় রোগীর স্বজনরা বলেন ডাক্তার সাব যত টাকা লাগে আমরা দিবো সু-চিকিৎসা দিয়ে ভালো করে দেন। রাত ২ টায় রোগীর স্বজনদের উপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উত্তেজিত হয়ে বলেন এ রোগীকে এক্ষনই হাসপাতাল থেকে সরান, তখন ইউনুস ভূঁইয়ার বড় ভাই আমীর আলী মুঠো ফোনে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাকে অবহিত করলে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে এসে বিস্তারিত জানতে পারে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উন্নত চিকিৎসা না পেলে এই রোগী যেকোনো সময় মৃত্য হতে পারে। ওই সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও উপস্থিত হন। শুক্রবার রাতেই রোগীকে জোড় পূর্বক বের করে দেওয়া হলে স্বজনরা তখন একটি এম্বুল্যান্স ভাড়া করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তাররা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করেন।

এ সমস্ত তথ্যগুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইউনুস ভূঁইয়ার বড় ভাই আমীর আলী, ছেলে ইমাম হোসেন। এ ব্যাপারে ওই রোগীকে চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার এ কে এম হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অপারগতা পোষন করেন। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা মামলা করবে বলে জানান।