নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আবু রশিদ একই গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মানিকের নিকট থেকে নেয়া ১লাখ টাকার সুদ সাড়ে ৩লাখ টাকা পরিশোধ করেও পরিত্রাণ পাননি মানিক বাহিনীর হামলা থেকে।
মানিক ভূক্তভোগী আবু রশিদকে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে জোর পূর্বক স্ট্যাম্প আদায় করে । সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে মানিক বাহিনী তার বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে এবং একই দিন রাতে রাস্তায় তাকে একা পেয়ে মারপিট করে রাস্তার পাশে পেলে দিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
আবু রশিদ বলেন, আমি ২০১৯ সালে সুদি মানিকের নিকট থেকে ১ লাখ টাকা সুদে নিয়ে বসত বাড়ীর জায়গা ক্রয় করি। টাকা নেয়ার সময় মানিক আমার নিকট থেকে একটি খালি ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প রাখে। টাকা নেয়ার পর থেকে আমি প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা করে সুদ পরিশোধ করি। পরে আমি আমার পুরনো বাড়ী বিক্রি করে তাকে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করি, সে আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা পাওনা থাকে।
কয়েক মাস আমি অসুস্থ থাকায় সুদের টাকা দিতে না পারায় মানিক আমার বাড়ীতে এসে জানায় সুদের সুদ সহ সে আমার কাছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। পরে আবার প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা সুদ দিতে থাকি। কিছুদিন পর সে এসে বলে তাকে আমি প্রতি মাসে ৬ হাজার সুদ ও ১০ হাজার আসল টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ নিয়মেও আমি তাকে ৭ মাস টাকা দিয়েছি। এবং চলতি মাসে আমি তাকে ৫০ হাজার টাকা এক সাথে পরিশোধ করি।
এ ভাবে গত ৩ বছরে আমি তাকে সাড়ে ৩লাখ টাকা দিয়েছি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার আমি কুমিল্লা থেকে বাড়ীতে আসলে সে আমার কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পায় দাবী করে আমাকে বাড়ী থেকে মাহবুবুল হকের দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারপিট করে পুনঃরায় স্ট্যাম্প আদায় করে বলে টাকা না দিলে যেন বাড়ী ছেড়ে চলে যাই।
পরে আমি এ বিষয়ে আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানাই এ নিয়ে মানিক ও তার বাহিনীর লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং আমি বাধা দিলে আমাকে মারপিট করে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে আমি দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে মানিক ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে আমার স্ত্রী ও প্রতিবেশিরা আমাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রশিদের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, মানিক গত কয়েক দিন আগে আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং বলে টাকা না দিলে আগুন দিয়ে আমাদেরকে জ্বালিয়ে দিবে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। দু’পক্ষ আমার কাছে এসেছে সামাজিকভাবে বসার একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।