নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১৫৬৯) এর উদ্যোগে প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিকের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
২১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনের প্রধান কার্যালয় নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রায় ২শতাধিক ও অফিস কার্যালয় ১শত সিএনজি চালকের মাঝে
ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের শ্রম কল্যাণ সংগঠক মোঃ গোলাম সহিদ সরোয়ার, শ্রম কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ হালকা যান ফেডারেশন বি-২১৮১ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ১৫৬৯ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম, যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ জিএম কামাল, প্রচার সম্পাদক মোঃ জুয়েল ও কান্দিরপাড় শাখার পরিচালক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শ্রম কর্মকর্তা গোলাম সহিদ সরোয়ার বলেন, এই সংগঠনটি শ্রম আইন ও নীতিমালা মেনেই শ্রমিকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে, বিগত দিনে তাদের কর্মকান্ড দেখেছি, এবারেও তাদের কর্মকান্ড প্রসংশনিয়, তারা শ্রমিকদের কল্যাণে তাদের থেকে চাঁদা তুলে এবং তাদের মাঝেই আবার খরচ করে, এই সংগঠনটি বৈধ ভাবে কাজ করছে, তাদের নামে অপপ্রচার বা মিথ্যা বানোয়াট ভাবে চাঁদাবাজ বলে আখ্যায়িত করলে তা সঠিক হবে না। আমরাই সংবিধানের মাধ্যমে তাদেরকে শ্রমিক কল্যাণে চাঁদা আদায় করার অনুমতি দিয়েছি।
এবিষয় হালকাযান ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক জানান, এই সংগঠনটি আমার সংগঠনের সাথে অন্তভূক্ত হয়ে কাজ করছে, আমরা প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর পরিক্ষা নিরীক্ষা করি, তাদের কার্যক্রম আইনগত ও শ্রমদপ্তরের নীতিমালায় চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে জানাবেন, আমরা তাহা পরিবর্তন করে সঠিক ভাবে কার্যক্রম চালানোর জন্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
অপর দিকে শ্রমিক শাহ আলম জানান, এই সংগঠনের সাথে দির্ঘদিন আমরা জড়িত, আমরা রাস্তায় চলাচলের জন্য, লাইনম্যান, যানজট নিরষন কর্মী ও অফিসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা কমিটির খরচ মিটিয়ে থাকি। এই সংগঠনটি রাস্তায় কোন চাঁদাবাজী করে না। আমাদের কোন অভিযোগ নেই নেতাদের প্রতি। আমরা কল্যাণ ও জিবি দিয়ে থাকি আমাদের জন্য, এই টাকা আমাদের কল্যাণ ফান্ডে, অবস্বরে, চিকিৎসা ভাতা, পেনশন ভাতা, দূর্ঘটনায় ও দুই ঈদে আমাদের মাঝেই খরচ করে থাকে।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটি আমরা সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী চালিয়ে আসছি। শ্রমিকরা তাদের ভোটে ৩ বছরের জন্য নেতা নির্বাচন করে থাকে। সংগঠন তাদের রেজুলেশনের মাধ্যমে সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে থাকি, শ্রমিকদের কোন অভিযাগ থাকলে তাহা আমাদের জানালে আমরা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে তাহার ব্যবস্থা নিব।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, শ্রম দপ্তরের নিয়মনীতির বাহিরে কাজ করলে শ্রমদপ্তরও আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। আমি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করি, আমি বা আমার কোন নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকলে তাহার তথ্যপ্রমানসহ আমাদেরকে জানান।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে শ্রমিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছি, সংগঠন কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে কল্যাণ চাঁদা আদায় করে সকল খরচ ভাউচারের মাধ্যমে খরচ করে থাকে। আজকে প্রায় ৩শতাধিক শ্রমিকদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, আগামীতে ঈদের আগেই ঈদ বস্ত্র ও ঈদ সামগ্রী বিতরনের পরিকল্পনা হয়েছে। আশা করি সংগঠন তাহার নীতিমালা ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের সকল আইন কানুন মেনেই সংগঠন তাহার কার্যক্রম অব্যহত রাখবে।