বুড়িচংয়ের চাঁনগাছা গ্রামে জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন

মো.জাকির হোসেন :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চাঁনগাছা গ্রামের ফসলী জমিতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় প্রায় অর্ধশতাধিক একর ফসলী জমির চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। বারবার প্রতিবাদ করলেও আমলে না নিয়ে বালু উত্তোলন করছে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

গরেজমিন ঘুরে স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের চাঁনগাছা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন বিগত পায় একমাস যাবৎ চাঁনগাছা গ্রামের নিজ মালিকানাধীন ২০ শতাংশ ভূমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। এই বালু পাইপ দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন বক্তির মালিকানাধীন নীচু জমি ভরাটের কাজে এই বালু বানিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে।

এতে ড্রেজারের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৪০/৪৫ একরের ফসলী জমির মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলনের ফলে মাটির তলদেশ খালি হয়ে এরই মাঝে আশপাশের জমিতে ফাটল শুরু হয়েছে। এঅবস্থায় ড্রেজারের পাশের জমির মালিকরা প্রতিবাদ করলেও কোন কর্ণপাত না করেই বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন ড্রেজার মালিক। বর্তমানে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের ফলে ওই জমিটিতে প্রায় ৩৫/৪০ ফুট গভীর সৃষ্ট হয়। এঅবস্থায় আগামীতে তিন ফসলী এইসব জমিতে চাষাবাদ নিয়ে চরম আতঙ্ক কৃষকরা।

স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফসলী জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে এখানকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর জানান,বালু উত্তোলনের ফলে জমিতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আতঙ্কিত। জমির মালিককে একাধিকবার ড্রেজার বন্ধের কথা জানালেও সে প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এদিকে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি আমার জমি থেকে বালু উত্তোলন করে আমার নিজের প্রয়োজনে জমি ভরাট করছি। এতে ক্ষতি হলে আমার নিজের হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আমি আবার আমার জমি ভরাট করে ফেলব দেব)।

বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান বলেন,কোন অভিযোগ পাইনি। সাংবাদিকরে মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবো।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!