মো. জাকির হোসেন :
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের একজন করে দুই গ্রুপের দুইজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নাগাইশ গ্রামে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন নামে একজন বৃদ্ধ মারা যায়।
এ ঘটনার জের ধরে নাগাইশ গ্রামের বড় দল ও ছোট দলের মধ্যে থেমে থেমে হামলা পাল্টা হামলা ভাংচুরসহ বিরোধ লেগেই থাকছে। গত ২৫ এপ্রিল ছোট দলের লোকজন বড় দলের প্রবাসী আশরাফুলের উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ এপ্রিল কুমিল্লা থেকে ঢাকা নেবার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনার জেরে থেমে থেমে হামলা পাল্টা হামলা বাড়িঘর ভাংচুর,পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কেন্দ্র করে এলাকা পুরুষশূন্য হয়েছিল। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ জুলাই রাতে নাগাইশ ফয়েজিয়া রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ জুন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ জাহের এর নেতৃর্ত্বে ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, থানার ওসি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা পূর্বে ঘটিত ডাবল হত্যা মামলা মিমাংসার লক্ষ্য দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক উভয়কে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাদেরকে বলা হয়। সে ঘটনার জের ধরে মফিজ মেম্বারের নেতৃর্ত্বে বড় দলের লোকজন মিমাংসাকে উপেক্ষা করে শিক্ষক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ (৫২) এর উপর হামলা চালায়। সে এখন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।