০২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

মুরাদনগরে স্কুল মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেছে ঠিকাদার, শিক্ষার্থীরা বিপদে

  • তারিখ : ১১:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • / 408

আরিফ গাজী :

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভিটিপাচঁপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠকে পুকুরে পরিনত করে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ঠিকাদার। ফলে বিপদে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের ২০৭ জন শিশু শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসলেও খেলাধুলা করতে মাঠে নামতে পারছেনা কেউ। তবে ৮ মাস আগে নবনির্মিত ভবনের অজুহাতে মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অলৌকিক কারণে লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় অভিবাবকদের মাঝে।

ভিটিপাঁচপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার বলেন, ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। গত ৮ মাস আগে সেই ভবনে মাটি লাগবে এমন অজুহাতে করোনা কালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাঠের মাটি কেটে নিয়ে যায় ঠিকাদার। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি রেজুলেশন আকারে আনা হয়েছে। তখন ঠিকাদার বলেছিলেন বিদ্যালয় খোলা মাত্রই তিনি মাটি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার দীর্ঘ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত গর্তটি ভরাট করা হয়নি। এ বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে জানিয়েছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্টর মিজান এর কাছে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, এটি এমন কোন গর্ত নয়। প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়েছিলাম কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভরাট করে দিব। গর্তের ফলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিবে? জানতে চাইলে, তিনি জবাবে বলেন আরে নাহ কোন সমস্যা হবে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের যোগসাজশেই এটি হয়েছে। স্কুলটির একমাত্র খেলার মাঠটি ৬ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে গেল ঠিকাদার অথচ এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। এই গর্তের ফলে এখন অভিভাবকরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয় এর আশপাশের বাড়িঘরের মানুষেরাও তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে সব সময় একটা আতঙ্কে থাকতে হয়। এই গর্ত দ্রুত ভরাট না করলে যেকোনো সময়ে এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা তখন এর দায়ভার কে নিবে?

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কয়েকবার মৌখিক আলোচনা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। দেখি ঠিকাদারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আকতার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানানোর পর আমি যতবার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তারা ততবারই খুব দ্রুত ভরাট করে দেবে বলতেন। পরে বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলে ভরাট করে দেয়ার বিষয়ে একইভাবে আশ্বস্ত করেন উপজেলা প্রকৌশলী। যেহেতু মৌখিকভাবে সহযোগিতা চেয়েও কানো ভালো ফলাফল পাইনি। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে স্কুল মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেছে ঠিকাদার, শিক্ষার্থীরা বিপদে

তারিখ : ১১:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

আরিফ গাজী :

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভিটিপাচঁপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠকে পুকুরে পরিনত করে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ঠিকাদার। ফলে বিপদে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের ২০৭ জন শিশু শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসলেও খেলাধুলা করতে মাঠে নামতে পারছেনা কেউ। তবে ৮ মাস আগে নবনির্মিত ভবনের অজুহাতে মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অলৌকিক কারণে লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় অভিবাবকদের মাঝে।

ভিটিপাঁচপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার বলেন, ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। গত ৮ মাস আগে সেই ভবনে মাটি লাগবে এমন অজুহাতে করোনা কালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাঠের মাটি কেটে নিয়ে যায় ঠিকাদার। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি রেজুলেশন আকারে আনা হয়েছে। তখন ঠিকাদার বলেছিলেন বিদ্যালয় খোলা মাত্রই তিনি মাটি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার দীর্ঘ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত গর্তটি ভরাট করা হয়নি। এ বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে জানিয়েছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্টর মিজান এর কাছে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, এটি এমন কোন গর্ত নয়। প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়েছিলাম কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভরাট করে দিব। গর্তের ফলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিবে? জানতে চাইলে, তিনি জবাবে বলেন আরে নাহ কোন সমস্যা হবে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের যোগসাজশেই এটি হয়েছে। স্কুলটির একমাত্র খেলার মাঠটি ৬ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে গেল ঠিকাদার অথচ এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। এই গর্তের ফলে এখন অভিভাবকরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয় এর আশপাশের বাড়িঘরের মানুষেরাও তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে সব সময় একটা আতঙ্কে থাকতে হয়। এই গর্ত দ্রুত ভরাট না করলে যেকোনো সময়ে এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা তখন এর দায়ভার কে নিবে?

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কয়েকবার মৌখিক আলোচনা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। দেখি ঠিকাদারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আকতার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানানোর পর আমি যতবার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তারা ততবারই খুব দ্রুত ভরাট করে দেবে বলতেন। পরে বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলে ভরাট করে দেয়ার বিষয়ে একইভাবে আশ্বস্ত করেন উপজেলা প্রকৌশলী। যেহেতু মৌখিকভাবে সহযোগিতা চেয়েও কানো ভালো ফলাফল পাইনি। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হবে।