মো.জাকির হোসেন :
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধ ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল সন্ত্রাসী দা ছেনি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীর লোকজনেরা ধাওয়া করে আলমগীর নামের এক জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। এসময় ওই বাড়ীর তিনজন আহত হয়। এঘটনায় বুধবার বুড়িচং থানায় ৯ জনকে নামিয় ৮-১০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজার ও স্থানী সূত্রে জানা যায় যে,জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল মতিন ফকিরের বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া’র মাহফিলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী পাশের গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো: জাকির হোসেন(২৬) তার সহপাটিদের সাথে যায়। ভোর রাতে তবারোক বিতরণের সময় গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহাম্মদের ছেলে আবদুল জলিল(৪৫)এর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় জাকিরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে আবদুল জলিল। জাকিরের লোকজনেরা জলিলের বাড়ীর সর্দার ও সালিসদের নিকট বিচার দেন। বিচার না করে বিষয়টি এরিয়ে যান। গত কয়েক দিন পূর্বে জলিলকে পীরযাত্রাপুর বাজারে পেয়ে জাকির তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন জাকিরের চাচাতো ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে এসে জলিলকে রক্ষা করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় এবং জাকিরকে মারধোর করে। এঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১:২০ মিনিটে আবদুল জলিলের নেতৃত্বে ৩০-৪০জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে দা, ছেনি, চানিজ কুঠাল ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র রাতের আধারে পীরযাত্রাপুর গ্রামের জাকিরের চাচাতো ভাই তার আত্মীয় স্বজনের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় হামলায় ওই বাড়ীর ৫টি টিনের ঘর কুঠাল ও ছেনি দিয়ে কুপিয়ে তচ্ছনছ করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘরের মালামাল,স্বর্ণাংলকার নগদ অর্থসহ লুট করে। মৃত সুন্দর আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেনের ঘরের মালামাল ভাং”ুর করে ছোকেছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং তার ভাই প্রবাসী জাফর আলীর স্ত্রী শিপন আক্তারের কানের এবং গলার স্বর্ণের এক ভড়ি ওজনের চেইন নিয়ে যায়। বাড়ীর লোকজনের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন পিছন থেকে আলমগীর হোসেন নামের এক জনকে ধাওয়া করে আটকে ফেলে। রাতে খবর পেয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোজাম্মেল হক পিপিএম এর নিদের্শে থানার এসআই মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার স্থলে যায়। তখন আটক কৃত আলমগীর হোসেনকে একটি ছেনিসহ পুলিশের নিকট সোর্পদ করে। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে মামলার বাদী মো: আবদুল জব্বারের মা ফরিয়মের নেছা(৭৫) ও তোফাজ্জল হোসেনসহ তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় বুধবার জাকিরের চাচাতো ভাই আবদুল জব্বার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় ৯ জনকে নামিয় ৮-১০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহাম্মেদের ছেলে আবদুল জলিল(৪৫), মো: সৈকত(২৫), আলমগীর হোসেন(৩৮), জয়নাল আবদীন(৫৫), একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে জমির উদ্দিন(৩২), মো: রবিউল(২৭), মো: ছেতু মিয়ার ছেলে মো: সুমন মিয়া(৩০), মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে জহির উদ্দিন(২৮), মো: বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো: মামুন মিয়া(২২) এবং অজ্ঞাতনামা করে ৮-১০ জনের মানে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়।