মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের অলির বাজার রামচন্দ্রপুরের এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের দায়ে গ্রেফতারকৃত এছাক মিয়া ও ধর্ষনের মূল পরিকল্পনাকারী ভিকটিমের চাচা বারপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরে কবিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ।
সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ধর্ষক এছাক মিয়া কুমিল্লার আদালতে ধর্ষনের বিষয়ে ১৬৪ এ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও প্রদান করেছে।
জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ১নং বিজয়পুর ইউনিয়নের রাজারখলা গ্রামের এছাক মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুরের মিনা আক্তার (ছদ্মনাম) এর প্রেমের সম্পর্ক হয়।
প্রেমে সহযোগিতা করেন ভিকটিমের চাচা রামচন্দ্রপুরের কবির হোসেন। এক পর্যায়ে এছাক মিয়া মিনা আক্তারকে (ছদ্মনাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড (লাকসাম রোড) এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়।
বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিকটিমের চাচা (ধর্ষনের মূলহোতা) কবিরের শলাপরামর্শে তাকে গত কয়েক মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
একপর্যায়ে ভিকটিম এছাক মিয়াকে বিয়ে করার কথা বললে, তাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অজ্ঞাত স্থানে ফালিয়ে যায়। বর্তমানে ওই যুবতী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ধর্ষনের অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এস আই সোহেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক এছাক মিয়া ও তার সহযোগি রামচন্দ্রপুরের কবিরকে গ্রেফতার জেল হাজতে পাঠিয়েছে।