নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার বিকালে
(২৬ ফেব্রুয়ারী) মাদক প্রবণ এলাকা রাজেশপুর ইকোপার্কে আলোকিত পূর্ব জোড়কানন পাঠাগার এর আয়োজনে মাদকের বিরুদ্ধে বইপাঠ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রহমান । আলোকিত পূর্ব জোড়কানন পাঠাগার এর সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শুভ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলোকিত পূর্বজোড়কানন পাঠাগার এর সভাপতি।
অত্র এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক পাঠক এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। প্রথমে পাঠকগণ একটি করে বই নিয়ে পাঠ করতে শুরু করে। বইয়ের কিছু অংশ পড়ার পর পাঠকদের সে অংশের উপর পাঠ প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষে শত পাঠাগার গড়ার উদ্যোগ নেয় ২০২০ সালে। তারই অংশ হিসেবে ৯২ তম পাঠাগার হিসেবে “আলোকিত পূর্ব জোড়কানন পাঠাগার ” এর আজ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে বইপাঠ কর্মসূচিটি মূলত রাজেশপুর ইকোপার্ক এলাকায় করা হয় কারণ সে এলাকাটিতে মাদকসহ বেশকিছু অসামাজিক কার্যকলাপ চলমান থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বিষয় টি দীর্ঘদিন ধরে অনুধাবন করে সে এলাকার যুবকদের কে মাদকের বিরুদ্ধে বইপাঠ কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করেন। কারণ কেবল বইপাঠই আমাদের কে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ হতে বিরত রাখতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন যুব ও ছাত্র সমাজ কে বইপড়ায় মনোযোগ দিয়ে জীবন কে আলোকিত করতে হবে। তবেই আমরা দেশ ও জাতি কে এগিয়ে নিতে পারবো।
সভাপতি মোঃ ইমাম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন ইতিমধ্যেই মুজিব শতবর্ষে শত পাঠাগার গড়ার যে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে, তাতে আমাদের বিশ্বাস অচিরেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সমগ্র দেশে একটি যুগোপযোগী বইপড়ার আন্দোলন গড়তে পাঠাগার আন্দোলন কাজ করছে। সরকার আমাদের কার্যক্রমে সবধরনের সহযোগিতা করছে। আমাদের দুয়েক টি সমস্যা আছে আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অচিরেই তা সমাধান করে দিবেন। ইতিমধ্যে মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি মহোদয় বেসরকারি গণগ্রন্থাগার গুলোর জন্য একজন করে লাইব্রেরিয়ান এর সম্মানী প্রদানের জন্য কথা দিয়েছেন। জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আমাদের পাশে রয়েছে। এখন আমাদের কে একসাথে কাজ করতে হবে।