০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

১ রানে সাকিবের বরিশালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

  • তারিখ : ১০:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 336

ক্রীড়া প্রতিবেদক।।

ফাইনাল হলো ঠিক ফাইনালের মতোই। দুই দলের লড়াই হলো একদম শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালকে করতে হতো ৩ রান। কিন্তু মাত্র ১ রান নিতে পেরেছেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। যার ফলে মাত্র ১ রানের জয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

আগে ব্যাট করে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ১৫১ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ বলে ৫৭ রান করেছিলেন সুনিল নারিন। বিপরীতে পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়ের নায়ক সুনিল নারিন।

এ নিয়ে তিনবার ফাইনালে উঠে তিনবারই রানার্সআপ হয়ে শেষ করতে হলো বরিশালকে। ২০১২ সালে প্রথম আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কাছে হারের পর, ২০১৫ সালে কুমিল্লার কাছেই ফাইনাল হেরেছিল বরিশালের দল। এবার দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লার কাছে হেরে হতাশায় আসর শেষ হলো বরিশালের।

অন্যদিকে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের পর এবার তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো কুমিল্লা। মাশরাফি বিন মর্তুজার পর মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে একের অধিনায়ক শিরোপা জিতলেন ইমরুল কায়েস। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চারবার। এছাড়া অন্য দুইবার শিরোপা উঠেছে সাকিব আল হাসান (২০১৬) ও আন্দ্রে রাসেল (২০২০)।

আজকের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচটিতে কুমিল্লার ছুড়ে দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি বরিশালের ফর্মে থাকা ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তবে সেই ওভারে ৪টি ওয়াইড বল করেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ৭ বলে ০ রান করা মুনিমকে ফিরিয়ে দেন শহিদুল ইসলাম।

তবে মুনিমের অভাব একদমই বুঝতে দেননি জিয়াউর রহমানের জায়গায় আজকের ফাইনালে সুযোগ পাওয়া সৈকত আলি। তিন নম্বরে নেমে শহিদুলের সেই ওভারের শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি হাঁকান সৈকত। যা সরিয়ে দেয় শুরুর চাপটা। এরপর আর থামতে হয়নি ডানহাতি এ ব্যাটারকে।

অবশ্য সুনিল নারিনের করা পরের ওভারেই ফিরতে পারতেন সাজঘরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে সৈকতকে লেগ বিফোর আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। এডিআরএস নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান সৈকত। ঠিক পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিনটি যে আজ তার, সেটিই বুঝিয়ে দেন ২৮ বছর বয়সী এ ব্যাটার।

অপরপ্রান্তে গেইলকে রীতিমতো দর্শক বানিয়ে চালিয়ে খেলতে থাকেন সৈকত। মোস্তাফিজের করা চতুর্থ ওভারে হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি। মইন আলির করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে কাউ কর্নার দিয়ে নিজের প্রথম ছক্কা হাঁকান সৈকত। যা ছিল বিপিএলের চলতি আসরের ৪০০তম ছক্কা।

সৈকতের উত্তাল ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করে ফেলে বরিশাল। যেখানে গেইলের অবদান ছিল ৭ বলে মাত্র ৪ রান। সপ্তম ওভারে আবার টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান সৈকত। আবু হায়দার রনির করা সেই ওভারে হাঁকানো দ্বিতীয় বাউন্ডারিতে নিজের ফিফটিও পূরণ করেন তিনি।

পঞ্চাশে পৌঁছতে সৈকত খেলেন মাত্র ২৬ বল। ইরফান শুক্কুরের পর দ্বিতীয় অনভিষিক্ত বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএল ফাইনালে ফিফটির রেকর্ড গড়েন সৈকত। সাত ওভারেই ৬৫ রান তুলে নিজেদের জয়ের পথ সুগম করে রাখে বরিশাল। তবে পরের দুই ওভারে আসেনি খুব বেশি। অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তানভির ইসলাম।

শহিদুলের করা পরের ওভারে আসে ৬ রান। পরপর দুই ওভার রান কমিয়ে আনার পর দশম ওভারে সৈকত আলির মূল্যবান উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির। ছয়ের আশায় ব্যাট ঘুরিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন ৩৪ বলে ৫৮ রান করা সৈকত। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ১ ছয়ের মারে। ইনিংসের দশ ওভার শেষে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮১ রান।

সৈকত ফেরার পর খোলস ছেড়ে বের হন গেইল। মইনের করা ১১তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন এ ক্যারিবীয় দানব। তানভিরের করা পরের ওভারে আরও এক ছক্কার সঙ্গে হাঁকান বাউন্ডারিও। তবে গেইলকে বেশি দূর যেতে দেননি তারই স্বদেশি নারিন। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৩১ বলে ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৩ রান করে ইউনিভার্স বস।

এরপর ফর্মে থাকা বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও আউট হয়ে যান অল্পতেই। মোস্তাফিজের দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে ৭ রান করেন সাকিব। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান। শহিদুলের করা ১৭তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের চাহিদাটা বলের চেয়ে কমে নামিয়ে নেন শান্ত।

কিন্তু সেই ওভারেই আরিফুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয়ে নুরুল হাসান সোহানকে। তিনি করেন ১৩ বলে ১৪ রান। লম্বা ডাইব দিয়েও ব্যাট মাটিতে ফেলতে না পারায় রানআউট হন সোহান। নিজের ওপর হতাশায় ব্যাট বাতাসে ছুড়ে মারে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

পরের ওভারের প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে লেগ বিফোরের ফাঁদে

শেয়ার করুন

১ রানে সাকিবের বরিশালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

তারিখ : ১০:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক।।

ফাইনাল হলো ঠিক ফাইনালের মতোই। দুই দলের লড়াই হলো একদম শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালকে করতে হতো ৩ রান। কিন্তু মাত্র ১ রান নিতে পেরেছেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। যার ফলে মাত্র ১ রানের জয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

আগে ব্যাট করে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ১৫১ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ বলে ৫৭ রান করেছিলেন সুনিল নারিন। বিপরীতে পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়ের নায়ক সুনিল নারিন।

এ নিয়ে তিনবার ফাইনালে উঠে তিনবারই রানার্সআপ হয়ে শেষ করতে হলো বরিশালকে। ২০১২ সালে প্রথম আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কাছে হারের পর, ২০১৫ সালে কুমিল্লার কাছেই ফাইনাল হেরেছিল বরিশালের দল। এবার দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লার কাছে হেরে হতাশায় আসর শেষ হলো বরিশালের।

অন্যদিকে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের পর এবার তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো কুমিল্লা। মাশরাফি বিন মর্তুজার পর মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে একের অধিনায়ক শিরোপা জিতলেন ইমরুল কায়েস। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চারবার। এছাড়া অন্য দুইবার শিরোপা উঠেছে সাকিব আল হাসান (২০১৬) ও আন্দ্রে রাসেল (২০২০)।

আজকের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচটিতে কুমিল্লার ছুড়ে দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি বরিশালের ফর্মে থাকা ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তবে সেই ওভারে ৪টি ওয়াইড বল করেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ৭ বলে ০ রান করা মুনিমকে ফিরিয়ে দেন শহিদুল ইসলাম।

তবে মুনিমের অভাব একদমই বুঝতে দেননি জিয়াউর রহমানের জায়গায় আজকের ফাইনালে সুযোগ পাওয়া সৈকত আলি। তিন নম্বরে নেমে শহিদুলের সেই ওভারের শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি হাঁকান সৈকত। যা সরিয়ে দেয় শুরুর চাপটা। এরপর আর থামতে হয়নি ডানহাতি এ ব্যাটারকে।

অবশ্য সুনিল নারিনের করা পরের ওভারেই ফিরতে পারতেন সাজঘরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে সৈকতকে লেগ বিফোর আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। এডিআরএস নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান সৈকত। ঠিক পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিনটি যে আজ তার, সেটিই বুঝিয়ে দেন ২৮ বছর বয়সী এ ব্যাটার।

অপরপ্রান্তে গেইলকে রীতিমতো দর্শক বানিয়ে চালিয়ে খেলতে থাকেন সৈকত। মোস্তাফিজের করা চতুর্থ ওভারে হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি। মইন আলির করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে কাউ কর্নার দিয়ে নিজের প্রথম ছক্কা হাঁকান সৈকত। যা ছিল বিপিএলের চলতি আসরের ৪০০তম ছক্কা।

সৈকতের উত্তাল ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করে ফেলে বরিশাল। যেখানে গেইলের অবদান ছিল ৭ বলে মাত্র ৪ রান। সপ্তম ওভারে আবার টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান সৈকত। আবু হায়দার রনির করা সেই ওভারে হাঁকানো দ্বিতীয় বাউন্ডারিতে নিজের ফিফটিও পূরণ করেন তিনি।

পঞ্চাশে পৌঁছতে সৈকত খেলেন মাত্র ২৬ বল। ইরফান শুক্কুরের পর দ্বিতীয় অনভিষিক্ত বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএল ফাইনালে ফিফটির রেকর্ড গড়েন সৈকত। সাত ওভারেই ৬৫ রান তুলে নিজেদের জয়ের পথ সুগম করে রাখে বরিশাল। তবে পরের দুই ওভারে আসেনি খুব বেশি। অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তানভির ইসলাম।

শহিদুলের করা পরের ওভারে আসে ৬ রান। পরপর দুই ওভার রান কমিয়ে আনার পর দশম ওভারে সৈকত আলির মূল্যবান উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির। ছয়ের আশায় ব্যাট ঘুরিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন ৩৪ বলে ৫৮ রান করা সৈকত। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ১ ছয়ের মারে। ইনিংসের দশ ওভার শেষে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮১ রান।

সৈকত ফেরার পর খোলস ছেড়ে বের হন গেইল। মইনের করা ১১তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন এ ক্যারিবীয় দানব। তানভিরের করা পরের ওভারে আরও এক ছক্কার সঙ্গে হাঁকান বাউন্ডারিও। তবে গেইলকে বেশি দূর যেতে দেননি তারই স্বদেশি নারিন। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৩১ বলে ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৩ রান করে ইউনিভার্স বস।

এরপর ফর্মে থাকা বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও আউট হয়ে যান অল্পতেই। মোস্তাফিজের দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে ৭ রান করেন সাকিব। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান। শহিদুলের করা ১৭তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের চাহিদাটা বলের চেয়ে কমে নামিয়ে নেন শান্ত।

কিন্তু সেই ওভারেই আরিফুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয়ে নুরুল হাসান সোহানকে। তিনি করেন ১৩ বলে ১৪ রান। লম্বা ডাইব দিয়েও ব্যাট মাটিতে ফেলতে না পারায় রানআউট হন সোহান। নিজের ওপর হতাশায় ব্যাট বাতাসে ছুড়ে মারে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

পরের ওভারের প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে লেগ বিফোরের ফাঁদে