১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ- অর্থমন্ত্রী

  • তারিখ : ০৯:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
  • / 1659

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার আলীশ্বরে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহার ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে স্মরণকালের ইতিহাসে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় অনুষ্ঠান ভিক্ষু পরিবাসব্রত (ওয়াইক) ও ব্যূহ চক্র মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ জানুয়ারী সোমবার বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) মানবতার মুক্তি কামনায় প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এই উপলক্ষে আলীশ্বর সহ আশপাশ এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। পুরো এলাকা সেজেছে নানান রঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জড়ো হয় পুণ্যার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে পঞ্চশীল প্রার্থনায় শুরু হয় মহাস্থবির বরণ অনুষ্ঠান।
এরপর পরই শুরু হয় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধর্ম দেশনা। বিকালে ভিক্ষু পরিবাসব্রত সমাপনী অনুষ্ঠান জন্মজয়ন্তীতে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়তলী মহানন্দ সংঘ রাজ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধমপ্রিয় মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বৌদ্ধ সার্ধিকের কাহিনী বিষয়ে আলোচনা করে বলেন, আমি প্রতিবছর আমার নিজ এলাকায় আলীশ্বর শান্তি নিকেতনে এসে খুবই আনন্দিত। বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে অহিসংসা পরম ধর্ম, হানাহানি কাটাকাটি নেই, জীব হত্যা নেই, জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক। আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে।
সকলের রক্ত, লাখো শহীদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সকল ধর্মের ‍মানুষ মিলে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। সকলে মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। ধর্মের নাম নিয়ে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না, সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যের ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম।
ইসলামে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। যারা এসব করে তারা ধর্মবিরোধী কাজ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যার যার ধর্ম সে সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এই পরিবেশটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে দেশকে গড়ে তুলি। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উন্নতি চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পথচলা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় মহামান্য সংঘরাজ ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত প্রিয়ানন্দ, ফরা বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত জিনপ্রিয় স্থবিরসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির সালেহীন ইমন, লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ভূইঞা, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, ও ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদারসহ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ- অর্থমন্ত্রী

তারিখ : ০৯:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার আলীশ্বরে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহার ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে স্মরণকালের ইতিহাসে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় অনুষ্ঠান ভিক্ষু পরিবাসব্রত (ওয়াইক) ও ব্যূহ চক্র মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ জানুয়ারী সোমবার বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) মানবতার মুক্তি কামনায় প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এই উপলক্ষে আলীশ্বর সহ আশপাশ এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। পুরো এলাকা সেজেছে নানান রঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জড়ো হয় পুণ্যার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে পঞ্চশীল প্রার্থনায় শুরু হয় মহাস্থবির বরণ অনুষ্ঠান।
এরপর পরই শুরু হয় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধর্ম দেশনা। বিকালে ভিক্ষু পরিবাসব্রত সমাপনী অনুষ্ঠান জন্মজয়ন্তীতে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়তলী মহানন্দ সংঘ রাজ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধমপ্রিয় মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বৌদ্ধ সার্ধিকের কাহিনী বিষয়ে আলোচনা করে বলেন, আমি প্রতিবছর আমার নিজ এলাকায় আলীশ্বর শান্তি নিকেতনে এসে খুবই আনন্দিত। বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে অহিসংসা পরম ধর্ম, হানাহানি কাটাকাটি নেই, জীব হত্যা নেই, জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক। আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে।
সকলের রক্ত, লাখো শহীদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সকল ধর্মের ‍মানুষ মিলে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। সকলে মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। ধর্মের নাম নিয়ে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না, সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যের ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম।
ইসলামে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। যারা এসব করে তারা ধর্মবিরোধী কাজ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যার যার ধর্ম সে সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এই পরিবেশটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে দেশকে গড়ে তুলি। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উন্নতি চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পথচলা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় মহামান্য সংঘরাজ ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত প্রিয়ানন্দ, ফরা বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত জিনপ্রিয় স্থবিরসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির সালেহীন ইমন, লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ভূইঞা, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, ও ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদারসহ প্রমুখ।