প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রাসেল (২৭) মাদকসহ গ্রেপ্তার। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুলিশ এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে এই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র এএসপি ওবায়দুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান কালে ওই শিক্ষার্থীর সাথে ২.৫ কেজি গাজা, ৩ বোতল ফেনসিডিল ও ৫৫০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক করার পর ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করেন, সে এসব নিষিদ্ধ মাদক উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও উঠতি বয়সের ছাত্রদের নিকট চড়া দামে বিক্রি করতো।
রাসেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বাবা বাকই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শফিকুর রহমান জানান, প্রতিদিন তাদের ছেলে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে। কিন্তু শনিবার রাতে বাসায় না ফেরায় রাসেলকে অনেক খোঁজাখুজি করা হয়। কোথাও না পেয়ে পরবর্তীতে তারা লালমাই থানায় একটি জিডি করেন। রবিবার লালমাই থানার এস আই খলিল রাসেলের বাবাকে ফোন করে জানায় “আপনার ছেলে রাসেলকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা পুলিশ মাদকসহ আটক করেছে”। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে তারা আটক করে এবং পরবর্তীতে লালমাই থানা পুলিশের নিকট তাকে হস্তান্তর করে দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে শোনা এমন অভিযোগের পর রাসেলের পিতা বাকই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন বলেন, আমার ছেলে এমন কাজ কখনোই করতে পারে না। তিনি দাবি করেন তার ছেলেকে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এসব ভিত্তিহীন ঘটনার সাথে তার ছেলের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই, থাকতে পারেনা।
রাসেলের বিশ্ববিদ্যালয় বান্ধবী সুমাইয়া বলেন, রাসেল কখনোই মাদক এর ধারে কাছেও ছিল না। আমি কখনোই এটা বিশ্বাস করতে পারি না সে মাদকের সাথে জড়িত। বরং সে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। তাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
তার নিজ গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী মাষ্টার শহীদুল্লাহ বলেন, সে খুবই সৎ ছেলে, তাকে ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি। সে কখনো গ্রামের কারো সাথে কোন খারাপ আচরন করে নাই। বরং সে আমাদের গ্রামের সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। এছাড়াও সে গ্রামের মানুষদের জন্য ব্লাড সংগ্রহ করে দিতো। তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সে এমনটা করতেই পারে না।
রাসেলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান বেলাল হোসাইন আমাদের বলেন, সে যথেষ্ট মনযোগী এবং নিয়মিত ছাত্র, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। তাকে কখনো কোন অন্যায়কে সমর্থন করতে দেখি নি। সে এসব কাজে জড়াতে পরে না। কোন কুচক্রী মহল তাকে ফাঁসিয়েছে।
রাসেলের পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠী এবং এলাকাবাসী রাসেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং পাশাপাশি এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি করেন। যারা তাকে ফাঁসিয়েছে তাদেরকে সনাক্ত করে যথাযত শাস্তির দাবিও জানান।