কুমিল্লায় মসজিদের ইমাম করোনা আক্রান্ত- আতংকে মুসল্লীরা

আকতার হোসেন (রবিন) : 

কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের টাওয়ার মসজিদের ইমাম একই গ্রামের আরো একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মসজিদে অবস্থান করছেন। মসজিদ লকডাউনের পাশাপাশি চান্দিনার প্রশাসন তার খানবাড়মর বাসা,ভাই,মা ও বোনের বাসা লকডাউন করেছে।

জানা যায় কিছুদিন পুর্বে তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করা টাওয়ার মসজিদে আযান দেওয়া এবং এই মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী বাগুরের শাহজালাল মেম্বারের গোসল করানো এবং সংস্পর্শে ছিলেন। তবে তিনি সনাক্ত হয়ার আগ পর্যন্ত এই মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন,আর এই কারনে মসজিদের মুসল্লিদের দ্বারা ছড়ানোর আশংকায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা (উঃ) স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এবং বাগুর এলাকার সমাজ সেবক সরকার মোঃ লিটন জানান,আমি উনার সকল দায়িত্ব নিয়েছি এবং যেহেতু তিনি এই মসজিদের নিয়মিত ইমাম ছিলেন এবং মসল্লীদের সংস্পর্শে ছিলেন এ নিয়ে এলাকায় একটি চাপা আতংক বিরাজ করছে।

এ ছাড়া এই বাগুর এলাকাতেই এ পর্যন্ত যে ৭ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে,ধারনা করা যাচ্ছে এর সবগুলিই একই সুত্রে গাথা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এবং এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকার খবরাখবর জানাচ্ছি এবং জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে চলেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহমেদ কবির জানান, দেবিদ্বারের সবচাইতে ঝুকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে আছে বাগুর এবং নবীয়াবাদ। আমরা আশংকা করছি এ পর্যন্ত দেবিদ্বারে প্রথম নারায়নগঞ্জ থেকে আসা নবীয়াবাদের মৃত জীবন কৃঞ্চ সাহা থেকেই বাগুরের শাহজালাল মেম্বারের আক্রান্তের চেইন পরিলক্ষিত হচ্ছে,কারন বাগুর এবং নবীয়াবাদ পাশাপাশি গ্রাম,তাদের কমউনিটি ট্রান্সমিশন আছে আর আপনারা লক্ষ করলে দেখবেন এই দুই এলাকাতেই সনাক্ত ১৫ জনের মধ্যে জনের১৩ জন।

এছাড়া গুনাইঘরের শংকর ফার্মেসীর কর্মচারী সে ঔষধ আনতে নিয়মিত বাগুর দেবিদ্বারে আসা যাওয়া করত এবং তার থেকেই মৃত সুকুমার ডাক্তার আক্রান্ত হন। তিনি আরো বলেন আমরা আমাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি কমউনিটি ট্রান্সমিশন রুখতে,এবং প্রশাসন ইতিমধ্যে দেবিদ্বারকে হটস্পট হিসাবে ঘোষনা দিয়েছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!