০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ দশম হয়ে তাক লাগালেন কুমিল্লার অনন্যা

  • তারিখ : ০৯:৫১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / 403

দেলোয়ার হোসেন জাকির।।

শেষ হলো মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রায় আট হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দশম হয়েছেন কুমিল্লার মেয়ে অনন্যা। সহিহা কবির অনন্যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

অনন্যার এ অর্জনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দিত কুমিল্লাবাসীও। কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীর বাসিন্দা শাজাহান কবির পাটোয়ারি ও সুফিয়া বেগম দম্পত্তির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় অনন্যা।

মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২ এ দশম হয়েও উচ্ছাসিত অনন্যা জানান, আমি অনেক বেশি আনন্দিত। কারণ, আমার এই অর্জন সামনের দিনগুলোতে চলারপথে অনেক সাহস যোগাবে। আমার দীর্ঘদিনের যেই স্বপ্ন অভিনেত্রী হওয়া। সেই স্বপ্নপূরণের পথটি সহজ করে দিয়েছে ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২২’ এর এই আসর।

বিবাহিত নারীরাও যে পিছিয়ে নেই, চাইলে তাদের পক্ষেও যে মেধা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। তারই একটি প্লাটফর্ম হলো ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। আর এই প্লাটফর্মে ৮ হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে পেলে সেরা ১০ এ জায়গা করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সহিহা কবির অনন্যা।

প্রতিবর্তন ও থিয়েটার এর সাবেক কর্মী অনন্যার এভাবে উঠে আসার গল্প শুনতে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, ফেসবুকে মিসেস ইউনিভার্সের পেইজে তিনি এমন একটি প্রতিযোগিতার কথা শুনে শাশুড়ির অনুপ্রেরণায় আবেদন করেন। এরপর ‘মিসেস ইউনিভার্স’ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে টপ ৫০০ বাছাই করেন। যার মধ্যে জায়গা করে নেন অনন্যা।

এরপরে অডিশন রাউন্ডে অংশ নিয়ে ছিটকে পড়ে ৪ শতাধিক প্রতিযোগী। বাকি থাকে ১০০ জন প্রতিযোগী। এরপর চূড়ান্ত প্রতিযোগীতার জন্য ৩ দিনের গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশন হয়। এই সেশনে ১০০ জন থেকে বাদ পড়ে আরও ৫০ প্রতিযোগী।

এরপর আরও একবার গ্রুমিং সেশন শেষে মাত্র ২০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয় ১২ নভেম্বরের ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ীর মুকুট ওঠে আন নূর খান নোলকের মাথায়। ১ম রানার্সআপ হন কানিজ সুবর্না এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন মেহেরীন হামিদ। আর এই চুড়ান্ত আসরেই সেরা ১০ এ জায়গা করে নেন সহিহা কবির অনন্যা।

শেয়ার করুন

মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ দশম হয়ে তাক লাগালেন কুমিল্লার অনন্যা

তারিখ : ০৯:৫১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

দেলোয়ার হোসেন জাকির।।

শেষ হলো মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রায় আট হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দশম হয়েছেন কুমিল্লার মেয়ে অনন্যা। সহিহা কবির অনন্যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

অনন্যার এ অর্জনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দিত কুমিল্লাবাসীও। কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীর বাসিন্দা শাজাহান কবির পাটোয়ারি ও সুফিয়া বেগম দম্পত্তির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় অনন্যা।

মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২ এ দশম হয়েও উচ্ছাসিত অনন্যা জানান, আমি অনেক বেশি আনন্দিত। কারণ, আমার এই অর্জন সামনের দিনগুলোতে চলারপথে অনেক সাহস যোগাবে। আমার দীর্ঘদিনের যেই স্বপ্ন অভিনেত্রী হওয়া। সেই স্বপ্নপূরণের পথটি সহজ করে দিয়েছে ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২২’ এর এই আসর।

বিবাহিত নারীরাও যে পিছিয়ে নেই, চাইলে তাদের পক্ষেও যে মেধা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। তারই একটি প্লাটফর্ম হলো ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। আর এই প্লাটফর্মে ৮ হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে পেলে সেরা ১০ এ জায়গা করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সহিহা কবির অনন্যা।

প্রতিবর্তন ও থিয়েটার এর সাবেক কর্মী অনন্যার এভাবে উঠে আসার গল্প শুনতে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, ফেসবুকে মিসেস ইউনিভার্সের পেইজে তিনি এমন একটি প্রতিযোগিতার কথা শুনে শাশুড়ির অনুপ্রেরণায় আবেদন করেন। এরপর ‘মিসেস ইউনিভার্স’ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে টপ ৫০০ বাছাই করেন। যার মধ্যে জায়গা করে নেন অনন্যা।

এরপরে অডিশন রাউন্ডে অংশ নিয়ে ছিটকে পড়ে ৪ শতাধিক প্রতিযোগী। বাকি থাকে ১০০ জন প্রতিযোগী। এরপর চূড়ান্ত প্রতিযোগীতার জন্য ৩ দিনের গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশন হয়। এই সেশনে ১০০ জন থেকে বাদ পড়ে আরও ৫০ প্রতিযোগী।

এরপর আরও একবার গ্রুমিং সেশন শেষে মাত্র ২০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয় ১২ নভেম্বরের ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ীর মুকুট ওঠে আন নূর খান নোলকের মাথায়। ১ম রানার্সআপ হন কানিজ সুবর্না এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন মেহেরীন হামিদ। আর এই চুড়ান্ত আসরেই সেরা ১০ এ জায়গা করে নেন সহিহা কবির অনন্যা।