উদ্বোধনের অপেক্ষায় কুমিল্লা নগর উদ্যানে যুদ্ধাহত বীর ভাস্কর্য

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় কুমিল্লা নগর উদ্যানে নব নির্মিত যুদ্ধাহত বীর ভাস্কর্য। ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবসে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে। যা ইতোমধ্যে সকল বয়সীদের নজর কেড়েছে। শিল্পীর দাবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশে অনেক ভাস্কর্য আছে, তবে যুদ্ধাহত বীর বাংলাদেশে এটিই প্রথম। সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রাচে ভর দিয়ে বিজয় উল্লাস করছেন যুদ্ধাহত বীর। বাম পা আছে, ডান পা নেই। সূর্য সন্তানের মুখে বিজয়ের হাসি।

ডান হাতে থ্রি নট থ্রি রাইফেল উঁচু করে আছেন। রাইফেলের উপরের অংশে জাতীয় পতাকা। ভাস্কর্যের পেছনে রয়েছে একটি ফলক। যার নিচের অংশে রয়েছে কচি একটি পাতা। যা সদ্য স্বাধীন লাভ করা বাংলাদেশকে ইঙ্গিত করে। যার উপরে ফলক রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র। যার দুই পাশে তামা, পিতল ও অ্যালুমিনিয়াম পর্দাথের তিনটি বর্ণালী রেখা। যা সোনা-রূপার বাংলাদেশকে বুঝানো হয়েছে।

মানচিত্রের ডানে ৩০, বামে ২ উপরে ৭ অঙ্কে লিখা আছে। এ তিনটি সংখ্যা দ্বারা ৭ বীর শ্রেষ্ঠ, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর কথাকে স্মরণ করা হয়েছে। মানচিত্রের উপরে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ দিয়ে, আজকের সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্ছে ১৬টি এসএস স্টিক দেওয়া হয়েছে। যা ১৬ ডিসেম্বরের বার্তা বহণ করে। নিচের অংশে ট্যারাকোটার ছোঁয়া রয়েছে।

শিল্পী মোহাম্মদ শাহীন জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশে অনেক ভাস্কর্য আছে তবে যুদ্ধাহত বীর বাংলাদেশে এটিই প্রথম। ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবসে এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয়ে। এটির সকল কাজ শেষ হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন অংকনশালা ও শিল্প চর্চা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা এ কাজে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে।

মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উদ্যানে হাজারো মানুষ চলাচল করে। তারা মুক্তিযুদ্ধাদের ত্যাগের কথা জানবে, শিখবে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ সৌন্দর্য রক্ষা সকলের দায়িত্ব।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!