করোনার মধ্যেই চলতি মাসে প্রকাশিত হবে এসএসসি ও সমমানের ফল। সে লক্ষ্যে সাধারণ ছুটির মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) শিটের ৯০ শতাংশই ইতিমধ্যে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এসে পৌঁছেছে। এখন ঈদের ঠিক আগে বা পরপরই ফল প্রকাশে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। আর ফল প্রকাশের পরের মাসেই অনলাইনে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মতো এবার ফল প্রকাশে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। শিক্ষার্থীদেরও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানার সুযোগ থাকবে না। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনও করা হবে না। শিক্ষার্থীদের ফল জানতে হবে মূলত এসএমএস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ফল প্রকাশের আগেই শিক্ষার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করারও সুযোগ থাকবে। এই রেজিস্ট্রেশন যারা করে রাখবে, তাদের মোবাইলে ফল প্রকাশের পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর প্রধান পরীক্ষকরা ওএমআর শিট নিয়ে বোর্ডে আসতে পারছিলেন না। এতে ফলাফল প্রকাশের কাজ আটকে ছিল। তবে পোস্ট অফিসগুলো খোলার পর আমরা ১০ মে’র মধ্যে ওএমআর শিট ডাকযোগে পাঠাতে নির্দেশনা প্রদান করি। ৯০ শতাংশ ওএমআর বোর্ডে চলে এসেছে। এগুলো স্ক্যান করতে করতে বাকিগুলোও চলে আসবে। আমরা চলতি মাসেই ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর এসএসসির ফল প্রকাশের পরপরই দ্রুততার সঙ্গে আগামী মাসেই অনলাইনে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করব আমরা।’
এই বোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ফল প্রকাশে সব ধরনের তথ্যই আমাদের কাছে চলে এসেছে। যদি আমাদের কোনও প্রধান পরীক্ষককে প্রয়োজন হয়, তাহলে হয়তো কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কারণ এখন কাউকে দরকার হলে তার পক্ষে বোর্ডে আসা সম্ভব নয়। সেটাও বিকল্প উপায়ে কিভাবে করা যায়, সে চেষ্টা আমরা করছি। অর্থাৎ দ্রুত ফল প্রকাশের কাজ শেষ করতে চাইলেও কোনও গ্যাপ আমরা রাখব না।’