১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

  • তারিখ : ০৮:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 402

কুবি প্রতিনিধি :

বড় ভাইয়ের করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের কর্মচারীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু মুসা। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের প্রবাসী করোনা টেস্ট বুথে তার বড় ভাইকে নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়ান। কিন্তু প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সিরিয়াল আসলে আউটসোর্সিং কর্মীরা জানায় কুমিল্লা জেলার বাইরের কোন লোকের করোনা টেস্ট করানো হয় না। যদিও প্রথমে তারা জানায় টেস্ট করানো হবে।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালে দায়িত্বরত কর্মীরা প্রথমে কলার চেপে ধরে এবং বাঁশ নিয়ে মারধরের জন্য এগিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা বলেন, আমার বড় ভাই আগামীকাল সৌদি আরব যাওয়া জন্য টিকিট কেটেছে। সেজন্য করোনা টেস্ট করাতে সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি যারা সকাল থেকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে তাদের অতিক্রম করে টাকার বিনিময়ে অন্যরা টেস্ট সম্পন্ন করতেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট কর্মী আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসে।

মুসা বলেন, বিষয়টি মোবাইলে ধারণ করতে গেলে তারা আমার ফোন কেড়ে নেয় এবং আমার কলার চেপে ধরে। এক ঘন্টা পরে আমি এবং লাইনে দাড়ানো অন্যদের অনুরোধে তারা ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেয়। এছাড়া করোনা পরীক্ষার করানোর জন্য যে ১৫০০ টাকা জমা দিয়েছিলাম, সেটা টাকাও পরে আর তাদের আচরণে ফেরত নেইনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগেও অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর সাথে একই ঘটনা ঘটেছে। আমি ওই শিক্ষার্থীর সাথেও কথা বলেছি। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলব এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। পাশাপাশি আজকের ঘটনায় জড়িতের শাস্তির আওতায় আনা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে টিকাকর্মীর হাতে হেনস্তার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান।

শেয়ার করুন

করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

তারিখ : ০৮:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কুবি প্রতিনিধি :

বড় ভাইয়ের করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের কর্মচারীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু মুসা। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের প্রবাসী করোনা টেস্ট বুথে তার বড় ভাইকে নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়ান। কিন্তু প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সিরিয়াল আসলে আউটসোর্সিং কর্মীরা জানায় কুমিল্লা জেলার বাইরের কোন লোকের করোনা টেস্ট করানো হয় না। যদিও প্রথমে তারা জানায় টেস্ট করানো হবে।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালে দায়িত্বরত কর্মীরা প্রথমে কলার চেপে ধরে এবং বাঁশ নিয়ে মারধরের জন্য এগিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা বলেন, আমার বড় ভাই আগামীকাল সৌদি আরব যাওয়া জন্য টিকিট কেটেছে। সেজন্য করোনা টেস্ট করাতে সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি যারা সকাল থেকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে তাদের অতিক্রম করে টাকার বিনিময়ে অন্যরা টেস্ট সম্পন্ন করতেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট কর্মী আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসে।

মুসা বলেন, বিষয়টি মোবাইলে ধারণ করতে গেলে তারা আমার ফোন কেড়ে নেয় এবং আমার কলার চেপে ধরে। এক ঘন্টা পরে আমি এবং লাইনে দাড়ানো অন্যদের অনুরোধে তারা ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেয়। এছাড়া করোনা পরীক্ষার করানোর জন্য যে ১৫০০ টাকা জমা দিয়েছিলাম, সেটা টাকাও পরে আর তাদের আচরণে ফেরত নেইনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগেও অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর সাথে একই ঘটনা ঘটেছে। আমি ওই শিক্ষার্থীর সাথেও কথা বলেছি। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলব এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। পাশাপাশি আজকের ঘটনায় জড়িতের শাস্তির আওতায় আনা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে টিকাকর্মীর হাতে হেনস্তার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান।