করোনা রোগীর সেবায় জাগ্রত মানবিকতার অক্সিজেন ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তীর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে “জাগ্রত অক্সিজেন সেবা “ নামে অক্সিজেন ব্যাংক শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতা। এই সেবার মাধ্যমে কুমিল্লা নগরীর করোনা রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছে দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর তালপুকুরপাড়স্থ জাগ্রত মানবিকতার কার্যালয়ের সামনে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো জাগ্রত ভলান্টিয়ারদের হাতে তুলে দেন জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা।
সূত্র জানায়,করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অনেকের জরুরী মুহূর্তে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় রোগীকে সে মুহূর্তে হাসপাতালে নেয়ার সুযোগ থাকে না। ওই সব রোগীদের কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার উদ্যোগে নগরীতে আজ প্রথম ধাপে ১২ টি সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়। নগরীর বিভিন্নএলাকায় জাগ্রত ভলান্টিয়ারদের তত্বাবধানে এই সিলিন্ডার গুলো রাখা হবে । এবং জাগ্রত মানবিকতার ফেসবুক পেইজে দেয়া ফোন নাম্বারের মাধ্যম স্বেচ্ছাসেবকেরা রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছে দিবেন ।
এছাড়াও কুমিল্লা সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আগামী কয়েকদিনের মাঝে দুটি করে মোট ১২ টি সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে। যে সব রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হবে জাগ্রত মানবিকতার স্বেচ্ছাসেবকরা তাৎক্ষণিক করোনা রোগীর কাছে পৌঁছে দেবে অক্সিজেন সিলিন্ডার।
অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ শেষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করেই জাগ্রত মানবিকতা এই সেবা চালু করেছে।প্রথম ধাপে আজ নগরীর জন্য ১২ টি সিলিন্ডার দেয়া হলো। পরবর্তীতে আদর্শ সদর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে জাগ্রত অক্সিজেন সেবা পৌছে যাবে ।
এছাড়াও ভবিষ্যতে করোনা রোগীদের জরুরী মুহূর্তের জন্য অক্সিজেন কন্সেট্রেটরে সাপোর্টও দেয়া হবে। আজ জাগ্রত মানবিকতার মেডিকেল টিমের সদস্য ডাক্তার তানভীর স্বেচ্ছাসেবকদের সিলিন্ডারের ব্যবহার দেখিয়ে দিয়েছেন। সবশেষে তিনি যারা এই অক্সিজেন ব্যাংক তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সহ সবার উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করেছেন ।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!