০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কাউন্সিলর সোহেলের মাথায় ও বুকে ৯ টি গুলি করে দুর্বৃত্তরা

  • তারিখ : ১২:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 650

স্টাফ রিপোর্টার।।

নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুমিল্লাএসডিনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডানপাশে, বাম চোখের নিচে, গাল, কোমরসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। আমরা তাকে রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

নিহত সোহেল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন।

এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন পাথুরীয়া পাড়ার মো. রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, সুজানগরের সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়। হামলায় আহত জুয়েল জানিয়েছেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি, সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারছি না।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।

চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।

শেয়ার করুন

কাউন্সিলর সোহেলের মাথায় ও বুকে ৯ টি গুলি করে দুর্বৃত্তরা

তারিখ : ১২:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।।

নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুমিল্লাএসডিনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডানপাশে, বাম চোখের নিচে, গাল, কোমরসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। আমরা তাকে রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

নিহত সোহেল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন।

এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন পাথুরীয়া পাড়ার মো. রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, সুজানগরের সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়। হামলায় আহত জুয়েল জানিয়েছেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি, সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারছি না।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।

চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।