কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত ভোর রাতে বিষয়টি জানায় কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া।
নিহতরা হলেন- মামলার তিন নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও পাঁচ নম্বর আসামি সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)। নিহতদের লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ‘সোমবার রাত সোয়া ১২টায় খবর পাই মামলার এজহারে উল্লেখ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে।
খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। রাত প্রায় ১টার দিকে সদর উপজেলার গোমতী নদীর বেড়িবাধের সংরাইশ বালুমহল সংলগ্ন এলাকায় ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে।’
এ সময় পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে ওই দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলরের নিজ কার্যালয়ে সোহেলসহ সাত জন দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন। রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ মারা যান।