কুমিল্লার নাঙ্গলকোট চৌদ্দগ্রাম সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

মো: ওমর ফারুক :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলাবাসীর যাতায়াতের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বেহাল দশায় দু‘উপজেলাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। উপজলার দক্ষিনাঞ্চলের জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র বক্সগঞ্জ – গুণবতী (বিশ্বরোড সংযোগ) সড়কটির সর্বত্র খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়ে এবং পাশ^বর্তী ডাকাতিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সড়কটির চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী থেকে নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া হয়ে খাটরা পর্যন্ত সবচাইতে বেহাল দশা বিরাজ করছে।

স্থানীয় ডাকাতিয়া নদীর কোল ঘেঁষে সড়টি চলে যাওয়ায় সড়কের একপাশ ভেঙ্গে অনেকটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুই উপজেলার প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ এ সড়ক দিয়ে সহজ ভাবে চলাচল করে। বহুদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় ইট-সুরকি ও পিচ-পাথর উঠে সড়কের মাঝে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আরো বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে সড়কের নিচু অংশ ডাকাতিয়া নদীর পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ওই সময় সড়কটি দিয়ে যাতায়াত অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।

নাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলসহ পাশ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ ঢাকা-চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই সড়ক। এই সড়কটিতে অনেকদিন ধরে কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অন্তত একযুগ যাবতকাল ধরে এ জনপদের মানুষ যাতায়াতে দূর্ভোগ সহ্য করে যাচ্ছে।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যানচলাচলের সময় যাত্রী ও ড্রাইভারদের কোন না কোন দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে মালবাহি ট্রাক-ট্রাকটর, যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করে। এছাড়া সড়কটি দিয়ে সাধারণ যাত্রীরা সহজে কুমিল্লা-ঢাকা, ফেনী-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে। সড়কটি ভাঙ্গা-চোরার কারণে মানুষের আধা ঘন্টার পথ পাড়ী দিতে সময় লাগে প্রায় দেড়Ñ দু‘ঘন্টা।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী আলিয়ারা গ্রামের আজগর হোসেন বলেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। সড়কে অসংখ্য গর্তের ফলে কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে। সড়কদিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী সিএনজি চালক খাটরা গ্রামে আব্দুর রহমান বলেন, রাস্তায় এতো গর্ত! প্রতিদিন গাড়ির একটা না একটা পার্স ভেঙ্গে যায়। সড়কের খানা-খন্দকে সিএনজি চালাতে গিয়ে প্রতিদিন ব্যাথার ঔষধ খেতে হয়। কেউ রাস্তাটির খবরও নিতে আসেনা। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এক ঘন্টার রাস্তা পাড়ি দিতে তিন ঘন্টা লাগে। আবার প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনাতো ঘটছেই।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী সুমন তালুকদার বলেন, সড়কটির দুরবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। তবে এটি উন্নয়নের জন্য বন্যা প্রকল্পের অধীনে একনেক সভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছে। একনেক সভায় পাশ হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!