কুমিল্লায় কার্যালয়ে ঢুকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সঙ্গীকে হত্যা মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মো. মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসুম হত্যা মামলায় ৯ নম্বর আসামি।
এ নিয়ে মামলায় গ্রেপ্তার হলো দুইজন। এর আগে মো. সুমন নামে একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোথাও পালিয়ে যেতে মাসুম চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাতে ওই মামলা করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, মামলায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে।
নিজ কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।
চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।