দেলোয়ার হোসেন জাকির :
কুমিল্লায় গণধোলাইয়ে পারভেজ হোসেন নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।
নিহত পারভেজ কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল মবিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতি এবং একটি অস্ত্র মামলাসহ অপহরণ ও ধর্ষনের বেশকিছু মামলা রয়েছে।
গণধোলাইয়ে নিহত ডাকাত সর্দার পারভেজ হোসেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের তালিকাভূক্ত বলে জানা গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ডাকাতি ও অপরাধ জগত ডাকাত পারভেজের নিয়ন্ত্রনে ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মিরসরাই, দাউদকান্দি সহ বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে। ২০/২৫ জনের একটি দুধর্ষ গ্যাং পরিচালনা করতো পারভেজ। এদের মধ্যে ডাকাতি কালে বিভিন্ন সময়ে ৫ জনকে আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার নাজিরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, বুধবার রাতে ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পারভেজ একটি ডাকাত দল নিয়ে কমলাপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ওই ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে। এতে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও পারভেজকে আটক করে এলাকার লোকজন গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে নাজিরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা কালিরবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ও মহাসড়কের ব্যবসায়ীরা জানান, ডাকাত সর্দার পারভেজ হোসেন ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কালিরবাজার ইউনিয়ন, ময়নামতি, নিমসার এলাকায় খুন, ডাকাতি, লুটপাট, অপহরণ, ধর্ষন ছিনতাই সহ সকল অপরাধের সাথে জড়িত। কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের জনগন দীর্ঘদিন ধরে ডাকাত সর্দার পারভেজ হোসেন কে আটকের দাবি জানিয়ে আসছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ডাকাতির সাথে জড়িত পারভেজ, এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ তাঁর জন্যে। ৫ বছর আগে সৈয়দপুরে ডাকাতি করার সময় ধড়া পড়লে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। তিনি জানান, ১৫ মে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষন করে, এর প্রতিবাদ করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মেস্তফাকে পারভেজের সাথে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। নিহত ডাকাত সর্দার পারভেজ হোসেনের সহযোগী মামা চাঁন মিয়াকে আটকের দাবি জানান চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী।