মো. জাকির হোসেন ।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের প্রবাসীর ওয়াসিমের স্ত্রী সানজিদা আক্তার (৩০) এর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুড়িচং থানা পুলিশ খবর পেয়ে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত্যু প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। পলাতক রয়েছে শশুড়, শাশুড়ী ও ননদ, দেবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর মনাগোষ্ঠির সৌদি আরব প্রবাসী ওয়াসিমের স্ত্রী সানজিদা আক্তারের লাশ বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় শশুড় বাড়ির লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) দুপুরে। জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে নিহতের শ্বশুড় ওয়াহেদ মিয়া ও শ্বাশুড়ী এবং ননদ শাহনাজ,সালমা আক্তার দেবর মো.হৃদয় সানজিদা আক্তারকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় সময় নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার দুপুরে নির্যাতনের এক পর্যায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহত সানজিদা আক্তারের ভাই মো. কামরুল হাসান শ্বশুড় বাড়ির লোকজন লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
কারোর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখারও চেষ্টা করে নাই, এতেই বুঝা যায় আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশকে অবগত করলে, বুড়িচং থানার এসআই মেহেদী ও সুজয় কুমারসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পিতার বাড়ি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামে প্রবাসী মফিজুল ইসলামের ছোট মেয়ে। তবে স্থানীয় ও নিহতের বাবার বাড়ির লোক জনদের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে বলা যাবে। এদিকে নিহতের সানজিদা আক্তারের একমাত্র মেয়ে রোমানা আক্তার এর মাধ্যমে জানা যায়, তার মাকে মৃত্যুর আগে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার তদন্ত(পরিদর্শক) ওসি মাসুদ খান জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি এবং আইনের প্রক্রিয়াধীন অব্যাহত রয়েছে।