১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী

  • তারিখ : ০৫:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
  • / 394

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ওই ছাত্রী উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। তার বড় দুই বোনের বিয়েও কম বয়সেই হয়েছে। অভাবের সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে তৃতীয় মেয়েরও বিয়ে ঠিক করেন বাবা। তবে কিশোরী এই বিয়েতে অমত জানালেও পরিবারের সদস্যরা তার আপত্তি মেনে নেয়নি। আগামী বুধবার (৩০ মার্চ) তার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

উপায় না পেয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে বিষয়টি জানায় কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামকে জানান। একপর্যায়ে শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি এক হয়ে কিশোরীর বাবাকে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝিয়ে বললে তিনি মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন। এ সময় অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান ওই কিশোরীর পড়াশোনার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন এবং ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানার পর মেয়ের বাবাকে এর কুফল সম্পর্কে বলেছি। একই সঙ্গে মেয়েটির লেখাপড়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সব খরচ বহন করার আশ্বাসও দিই। অবশেষে তিনি বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।

ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কিশোরীর বাড়িতে যাই। সে খানে গিয়ে জানতে পারি অভাব-অনটনের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবার। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-ডালের ব্যবস্থা করা হবে এবং অধ্যক্ষ মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাবেন এ আশ্বাসে মেয়ের বাবা আবদুল হক বিয়ে ভাঙতে রাজি হন।

মেয়ের বাবা আবদুল হক বলেন, আমি উপার্জন করতে পারলে সংসার চলে আর না পরলে চলে না। যার কারণে আগের দুই মেয়েকেও কম বয়সে বিয়ে দিয়েছি। তাই এবার তৃতীয় মেয়েকেও বিয়ে দিতে দিন-তারিখ ঠিক করেছি। তবে মেম্বার ও অধ্যক্ষের কথায় বিয়েটা বন্ধ করেছি।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী

তারিখ : ০৫:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ওই ছাত্রী উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। তার বড় দুই বোনের বিয়েও কম বয়সেই হয়েছে। অভাবের সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে তৃতীয় মেয়েরও বিয়ে ঠিক করেন বাবা। তবে কিশোরী এই বিয়েতে অমত জানালেও পরিবারের সদস্যরা তার আপত্তি মেনে নেয়নি। আগামী বুধবার (৩০ মার্চ) তার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

উপায় না পেয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে বিষয়টি জানায় কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামকে জানান। একপর্যায়ে শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি এক হয়ে কিশোরীর বাবাকে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝিয়ে বললে তিনি মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন। এ সময় অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান ওই কিশোরীর পড়াশোনার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন এবং ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানার পর মেয়ের বাবাকে এর কুফল সম্পর্কে বলেছি। একই সঙ্গে মেয়েটির লেখাপড়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সব খরচ বহন করার আশ্বাসও দিই। অবশেষে তিনি বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।

ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কিশোরীর বাড়িতে যাই। সে খানে গিয়ে জানতে পারি অভাব-অনটনের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবার। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-ডালের ব্যবস্থা করা হবে এবং অধ্যক্ষ মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাবেন এ আশ্বাসে মেয়ের বাবা আবদুল হক বিয়ে ভাঙতে রাজি হন।

মেয়ের বাবা আবদুল হক বলেন, আমি উপার্জন করতে পারলে সংসার চলে আর না পরলে চলে না। যার কারণে আগের দুই মেয়েকেও কম বয়সে বিয়ে দিয়েছি। তাই এবার তৃতীয় মেয়েকেও বিয়ে দিতে দিন-তারিখ ঠিক করেছি। তবে মেম্বার ও অধ্যক্ষের কথায় বিয়েটা বন্ধ করেছি।