১১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী

  • তারিখ : ০৫:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
  • / 373

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ওই ছাত্রী উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। তার বড় দুই বোনের বিয়েও কম বয়সেই হয়েছে। অভাবের সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে তৃতীয় মেয়েরও বিয়ে ঠিক করেন বাবা। তবে কিশোরী এই বিয়েতে অমত জানালেও পরিবারের সদস্যরা তার আপত্তি মেনে নেয়নি। আগামী বুধবার (৩০ মার্চ) তার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

উপায় না পেয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে বিষয়টি জানায় কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামকে জানান। একপর্যায়ে শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি এক হয়ে কিশোরীর বাবাকে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝিয়ে বললে তিনি মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন। এ সময় অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান ওই কিশোরীর পড়াশোনার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন এবং ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানার পর মেয়ের বাবাকে এর কুফল সম্পর্কে বলেছি। একই সঙ্গে মেয়েটির লেখাপড়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সব খরচ বহন করার আশ্বাসও দিই। অবশেষে তিনি বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।

ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কিশোরীর বাড়িতে যাই। সে খানে গিয়ে জানতে পারি অভাব-অনটনের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবার। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-ডালের ব্যবস্থা করা হবে এবং অধ্যক্ষ মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাবেন এ আশ্বাসে মেয়ের বাবা আবদুল হক বিয়ে ভাঙতে রাজি হন।

মেয়ের বাবা আবদুল হক বলেন, আমি উপার্জন করতে পারলে সংসার চলে আর না পরলে চলে না। যার কারণে আগের দুই মেয়েকেও কম বয়সে বিয়ে দিয়েছি। তাই এবার তৃতীয় মেয়েকেও বিয়ে দিতে দিন-তারিখ ঠিক করেছি। তবে মেম্বার ও অধ্যক্ষের কথায় বিয়েটা বন্ধ করেছি।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী

তারিখ : ০৫:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ওই ছাত্রী উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। তার বড় দুই বোনের বিয়েও কম বয়সেই হয়েছে। অভাবের সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে তৃতীয় মেয়েরও বিয়ে ঠিক করেন বাবা। তবে কিশোরী এই বিয়েতে অমত জানালেও পরিবারের সদস্যরা তার আপত্তি মেনে নেয়নি। আগামী বুধবার (৩০ মার্চ) তার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

উপায় না পেয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে বিষয়টি জানায় কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামকে জানান। একপর্যায়ে শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি এক হয়ে কিশোরীর বাবাকে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝিয়ে বললে তিনি মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন। এ সময় অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান ওই কিশোরীর পড়াশোনার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন এবং ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলামও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানার পর মেয়ের বাবাকে এর কুফল সম্পর্কে বলেছি। একই সঙ্গে মেয়েটির লেখাপড়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সব খরচ বহন করার আশ্বাসও দিই। অবশেষে তিনি বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।

ইউপি সদস্য খায়েরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কিশোরীর বাড়িতে যাই। সে খানে গিয়ে জানতে পারি অভাব-অনটনের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবার। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-ডালের ব্যবস্থা করা হবে এবং অধ্যক্ষ মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাবেন এ আশ্বাসে মেয়ের বাবা আবদুল হক বিয়ে ভাঙতে রাজি হন।

মেয়ের বাবা আবদুল হক বলেন, আমি উপার্জন করতে পারলে সংসার চলে আর না পরলে চলে না। যার কারণে আগের দুই মেয়েকেও কম বয়সে বিয়ে দিয়েছি। তাই এবার তৃতীয় মেয়েকেও বিয়ে দিতে দিন-তারিখ ঠিক করেছি। তবে মেম্বার ও অধ্যক্ষের কথায় বিয়েটা বন্ধ করেছি।