কুমিল্লায় স্পিনিং মিল কর্মচারী গুরুতর অসুস্থ,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ

মো.জাকির হোসেন :
কুমিল্লায় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক স্পিনিং মিল কর্মচারী গুরুতর অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লার বুড়িচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই অসুস্থ কর্মচারীর ছোট বোন।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বুড়িচং থানা এলাকায় অবস্থিত কুমিল্লা স্পিনিং মিলস নামে একটি সূতা উৎপাদনকারী কারখানা। এতে দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর যাবৎ উৎপাদন শ্রমিক (রিং অপারেটর) হিসেবে কাজ করে আসছেন ৪০ বছর বয়সী জ্যোৎস্না রানী পাল।

বিগত দিনের মতো গেলো ২৫ জুলাই তারিখেও কারখানায় কাজে আসেন জ্যোৎস্না রানী। এসময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় আকস্মিক ভাবে সুস্থ হয়ে যান। বিষয়টি কারখানার নিয়ম অনুযায়ী কারখানার সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেননি। বরং গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে রাতভর কারখানায় অবহেলার সাথে ফেলে রাখা হয়। অথচ এ সময়ই তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

সকালে তাকে পরিবারের কাছে পাঠানো হলে, পরিবারের সদস্যরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, রাতেই তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। যার ফলে তার হাত-পাসহ শরীরের একপাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইজড হয়ে যায়।

মিল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তিনি প্যারালাইস হয়েছেন দাবি করেন তার ছোট বোন কাজল রানী পাল। এ ব্যাপারে তিনি শনিবার বুড়িচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা নন্দন চন্দ্র সরকারকে তদনাতপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্ব দেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

জ্যোৎস্না রানী পালের অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কারখানাটির শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জ্যোৎস্না রানী পাল এর অসুস্থতার অভিযোগটি সঠিক। ইতিমধ্যে এই কারখানায় আরো শ্রমিক অসুস্থ হয়েছে যাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেয়নি মিল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে কুমিল্লা স্পিনিং মিলস লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার জিএম অজিত মজুমদার কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অসুস্থতার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জ্যোৎস্না অসুস্থ হলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই এবং পর্যবেক্ষণে রাখি। রাতভর অবহেলায় কারখানায় ফেলে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে কারখানাটি পরিদর্শন করেছি পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!