০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লায় হাত, পা ও মুখ বেঁধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ!

  • তারিখ : ০৩:৫০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০
  • / 679

স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবদুল মতিন নামে ৬০ বছর বয়সী এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে। তিনি সম্পর্কে ওই কিশোরীর নানা হন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ দিন সকালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘সেদিন আমি এবং আমার স্বামী ক্ষেতে কাজ করছিলাম। আমার মেয়ে আর তিন বছরের ছেলে ঘরে ঘুমাচ্ছিল। এই সুযোগে মতিন আমার মেয়ের হাত, পা, মুখ বেঁধে ইজ্জত নষ্ট করে।’

শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর চাচা নবী বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিয়েছি। এই সময় আসামি মতিনের ছেলেরা এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে।’

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আবদুল মতিন ভুক্তভোগীর মামার শ্বশুর। আসামি সম্পর্কে ভুক্তভোগীর নানা এবং তাদের প্রতিবেশী। ওই কিশোরী উপজেলা সদরের খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সে ও তার ছোট ভাই তাদের ঘরে চৌকিতে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় ধর্ষক মতিন ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দরজার খিল আটকে দেয়। পরে তার গায়ের ওড়না দিয়ে তার হাত, পা ও মুখ চৌকির সঙ্গে বেঁধে ফেলে এবং তাকে ধর্ষণ করে।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের সুবিচার পাওয়ার জন্য তার পরিবারকে আইনিভাবে সহযোগিতা করেছি। এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ‘ঘটনা শুনেই পদক্ষেপ নেই।

গিয়ে জানতে পারি, আসামি নদী পার হয়ে অন্য উপজেলায় চলে গেছেন, সেখানেও আমরা অভিযান চালাই। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মতিনের ছেলেরা ভয়ভীতি দেখালে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় হাত, পা ও মুখ বেঁধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ!

তারিখ : ০৩:৫০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবদুল মতিন নামে ৬০ বছর বয়সী এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে। তিনি সম্পর্কে ওই কিশোরীর নানা হন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ দিন সকালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘সেদিন আমি এবং আমার স্বামী ক্ষেতে কাজ করছিলাম। আমার মেয়ে আর তিন বছরের ছেলে ঘরে ঘুমাচ্ছিল। এই সুযোগে মতিন আমার মেয়ের হাত, পা, মুখ বেঁধে ইজ্জত নষ্ট করে।’

শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর চাচা নবী বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিয়েছি। এই সময় আসামি মতিনের ছেলেরা এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে।’

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আবদুল মতিন ভুক্তভোগীর মামার শ্বশুর। আসামি সম্পর্কে ভুক্তভোগীর নানা এবং তাদের প্রতিবেশী। ওই কিশোরী উপজেলা সদরের খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সে ও তার ছোট ভাই তাদের ঘরে চৌকিতে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় ধর্ষক মতিন ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দরজার খিল আটকে দেয়। পরে তার গায়ের ওড়না দিয়ে তার হাত, পা ও মুখ চৌকির সঙ্গে বেঁধে ফেলে এবং তাকে ধর্ষণ করে।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের সুবিচার পাওয়ার জন্য তার পরিবারকে আইনিভাবে সহযোগিতা করেছি। এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ‘ঘটনা শুনেই পদক্ষেপ নেই।

গিয়ে জানতে পারি, আসামি নদী পার হয়ে অন্য উপজেলায় চলে গেছেন, সেখানেও আমরা অভিযান চালাই। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মতিনের ছেলেরা ভয়ভীতি দেখালে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’