০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

কুমিল্লায় হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ; আটক-১

  • তারিখ : ০৭:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / 1176

মো.জাকির হোসেন :

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বাকশিমূলে দরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ৭ জানুয়ারি বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা।
মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটনের সহায়তায় ধর্ষককে আটক করেছে।
মামলার বিবরণ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ই ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় উপজেলার বাকশিমুল ইউপি এলাকার বাকশিমুল গ্রামের জনৈক ফারুক মিয়ার বাড়ীর সামনের সড়ক থেকে ভিকটিম অর্পা (ছদ্মনাম) নামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়।
একই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে লম্পট মনির হোসেন (৩২) অপহরণের পর দীর্ঘ ২০ দিন আনন্দপুর গ্রামে একটি ঘরে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন চালায়।
হিন্দু হতদরিদ্র পিতা অনেক খোঁজাখুজির পর বুধবার মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ভুক্তভোগী দরিদ্র পিতা জানায়, নিজের কোন সহায় সম্বল না থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করছেন। এ ঘটনার পর বুধবার জমির মালিক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইছে। এ অবস্থায় কোথায় গিয়ে উঠবেন কোথায় যাবেন তিনি পরিবার ও মেয়েকে নিয়ে। তাকে তাড়িয়ে না দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন অসহায় দরিদ্র ভুক্তভোগী পরিবারটি।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথেই এস আই কামরুজ্জামান সহ ফোর্স প্রেরণ করি। স্থানীয় মেম্বার লিটনের সহায়তা তার বাড়ি থেকে ধর্ষক মনির কে আটক করে ভিকটিম কে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
ভকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ; আটক-১

তারিখ : ০৭:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০

মো.জাকির হোসেন :

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বাকশিমূলে দরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ৭ জানুয়ারি বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা।
মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটনের সহায়তায় ধর্ষককে আটক করেছে।
মামলার বিবরণ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ই ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় উপজেলার বাকশিমুল ইউপি এলাকার বাকশিমুল গ্রামের জনৈক ফারুক মিয়ার বাড়ীর সামনের সড়ক থেকে ভিকটিম অর্পা (ছদ্মনাম) নামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়।
একই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে লম্পট মনির হোসেন (৩২) অপহরণের পর দীর্ঘ ২০ দিন আনন্দপুর গ্রামে একটি ঘরে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন চালায়।
হিন্দু হতদরিদ্র পিতা অনেক খোঁজাখুজির পর বুধবার মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ভুক্তভোগী দরিদ্র পিতা জানায়, নিজের কোন সহায় সম্বল না থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করছেন। এ ঘটনার পর বুধবার জমির মালিক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইছে। এ অবস্থায় কোথায় গিয়ে উঠবেন কোথায় যাবেন তিনি পরিবার ও মেয়েকে নিয়ে। তাকে তাড়িয়ে না দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন অসহায় দরিদ্র ভুক্তভোগী পরিবারটি।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথেই এস আই কামরুজ্জামান সহ ফোর্স প্রেরণ করি। স্থানীয় মেম্বার লিটনের সহায়তা তার বাড়ি থেকে ধর্ষক মনির কে আটক করে ভিকটিম কে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
ভকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।