বুড়িচং প্রতিনিধি :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মঈনপুর গ্রামে মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে রান্নাঘরের তীরের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছেন ৩ সন্তানের জননী নার্গিস আক্তার (৩৪)।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের ট্রাভেলস্ ব্যবসায়ী মনির হোসেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় মনিরের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক মহিলা কল করে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলে। পরবর্তীতে স্ত্রী ওই মহিলার সাথে স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কেও অভিযোগ তুলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সন্তানদের অগোঁচরে মা নার্গিস আক্তার রান্নাঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেন।
এদিকে সন্তানরা দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে স্থানীয় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী নিহতের মেয়ে মাইমন আক্তার (১৩) কে সিলিং দিয়ে রান্না ঘরে পাঠালে সে মা নার্গিসকে সিলিংয়ের সাথে ফাঁস লাগানো দেখতে পায়। এরপর চিৎকার করে দরজা খুলে দিলে প্রতিবেশীরা তার নিথর দেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে বেলা সোয়া ১১ টায় বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ির এসআই এনামুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরুতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। নিহত নার্গিস ২ ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তার বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ভূবনঘর গ্রামে।