০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ‘টিকা নিতে আইছে হাজার হাজার মানুষ আবারনি করোনা অইয়া যায়’

  • তারিখ : ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 524

নেকবর হোসেন :

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে টিকাকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকালে থেকেই কেন্দ্রে আসছেন সেবাপ্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। তবে এ সময়ে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে উল্টো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার সকাল ১১টায় দেখা যায়, কেন্দ্রের সামনে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাড়িয়ে আছেন। অপেক্ষায় থাকা মুরাদপুর বাসিন্দা ইকবাল হোসেন সঙ্গে কথা আমাদের সাথে ।

তিনি বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে এখন করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আছি।

নগরীর অসোকতলা এলাকার ফারজানা আকতার বলেন, ’অনেক মানুষ আইছে টিকা নিতে। এতো মানুষের কারণে আবার নি আমারও করোনা হইয়া যায়, চিন্তায় আছি। টিকাদানকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন আর্ন্তজাতিক সংস্থা রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।

সংস্থাটির একাধিক স্বেচ্ছাসেবক জানান, এভাবে টিকা নিলে অনেকেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। কে টিকা নিবে সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। মাইকে বার বার তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্ক করলেও কেউ তা শুনছেন না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি বুথে টিকাদান চলছে। টিকা গ্রহীতাদের বার বার মাস্ক পড়ার কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করার পরই টিকা দেয়া হচ্ছে।

যারা মাস্ক পড়েনি বা সামাজিক দূরত্ব মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৫০জন,সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৪১ জন। মারা গেছেন ৭৮৬জন।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ‘টিকা নিতে আইছে হাজার হাজার মানুষ আবারনি করোনা অইয়া যায়’

তারিখ : ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

নেকবর হোসেন :

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে টিকাকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকালে থেকেই কেন্দ্রে আসছেন সেবাপ্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। তবে এ সময়ে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে উল্টো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার সকাল ১১টায় দেখা যায়, কেন্দ্রের সামনে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাড়িয়ে আছেন। অপেক্ষায় থাকা মুরাদপুর বাসিন্দা ইকবাল হোসেন সঙ্গে কথা আমাদের সাথে ।

তিনি বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে এখন করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আছি।

নগরীর অসোকতলা এলাকার ফারজানা আকতার বলেন, ’অনেক মানুষ আইছে টিকা নিতে। এতো মানুষের কারণে আবার নি আমারও করোনা হইয়া যায়, চিন্তায় আছি। টিকাদানকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন আর্ন্তজাতিক সংস্থা রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।

সংস্থাটির একাধিক স্বেচ্ছাসেবক জানান, এভাবে টিকা নিলে অনেকেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। কে টিকা নিবে সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। মাইকে বার বার তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্ক করলেও কেউ তা শুনছেন না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি বুথে টিকাদান চলছে। টিকা গ্রহীতাদের বার বার মাস্ক পড়ার কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করার পরই টিকা দেয়া হচ্ছে।

যারা মাস্ক পড়েনি বা সামাজিক দূরত্ব মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৫০জন,সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৪১ জন। মারা গেছেন ৭৮৬জন।