০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লা সিটির ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার স্থগিত

  • তারিখ : ০৬:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • / 482

অনলাইন ডেস্ক।।

বিতর্কের মুখে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ৪১২ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেছিল কুমিল্লা নগর কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে এ টেন্ডার আহবান করায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার কুসিক কর্তৃপক্ষ ৯টি প্যাকেজে ৮০ কোটি টাকার টেণ্ডার বহাল রেখে অবশিষ্ট ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।

কুসিক কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কর্তৃক গত বছরের ডিসেম্বরে কুসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, কবরস্থান, শ্মশান, রিটার্নিং ওয়াল, সীমানা দেওয়াল, বাস টার্মিনালসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪১টি প্যাকেজে ৪১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার টেন্ডার গত ৩১ মার্চ উন্মুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১টি প্যাকেজে ১৪২টি কবরস্থান ও ৪টি শ্মশান উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। অপর ৪০টি প্যাকেজের মধ্যে নগরীর চকবাজার বাস টার্মিনালের উন্নয়নে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। বাকি প্যাকেজগুলোর মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

সূত্র জানায়, একনেকের পুরো টাকা হাতে আসার আগেই অর্থ বছরের শেষ পর্যায়ে এসে তড়িঘড়ি করে এতো মোটা অঙ্কের টাকার টেণ্ডার আহবানের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, কুসিক নির্বাচনের তফসিলকে সামনে রেখে সরকারি বরাদ্দের টাকায় উন্নয়নের নামে কুসিকের বর্তমান পরিষদ নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হতো এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তো। টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি সরকারের একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।

কুসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ৯টি প্যাকেজে ৮০ কোটি টাকার টেণ্ডার কার্যক্রম বহাল রেখে অবশিষ্ট ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ৮০ কোটি টাকার মধ্যে একনেকের ৭৫ কোটি ও ৫ কোটি কুসিকের নিজস্ব তহবিলের।

কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু জানান, কুসিক নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি। তাই আমাদের টেন্ডার আহবান প্রক্রিয়ায় কোনো আইনগত জটিলতা ছিল না। একনেকের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে হয়, তাই আমরা টেণ্ডার আহবান করেছিলাম। তবে ৭৫ কোটি টাকা এরই মধ্যে আমাদের হাতে চলে আসায় টেন্ডার কার্যক্রম বহাল রাখা হয়েছে। স্থগিত করা ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম কুসিক নির্বাচনের পর নির্বাচিত মেয়রের মাধ্যমে শুরু করা হবে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা সিটির ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার স্থগিত

তারিখ : ০৬:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

অনলাইন ডেস্ক।।

বিতর্কের মুখে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ৪১২ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেছিল কুমিল্লা নগর কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে এ টেন্ডার আহবান করায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার কুসিক কর্তৃপক্ষ ৯টি প্যাকেজে ৮০ কোটি টাকার টেণ্ডার বহাল রেখে অবশিষ্ট ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।

কুসিক কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কর্তৃক গত বছরের ডিসেম্বরে কুসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, কবরস্থান, শ্মশান, রিটার্নিং ওয়াল, সীমানা দেওয়াল, বাস টার্মিনালসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪১টি প্যাকেজে ৪১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার টেন্ডার গত ৩১ মার্চ উন্মুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১টি প্যাকেজে ১৪২টি কবরস্থান ও ৪টি শ্মশান উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। অপর ৪০টি প্যাকেজের মধ্যে নগরীর চকবাজার বাস টার্মিনালের উন্নয়নে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। বাকি প্যাকেজগুলোর মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

সূত্র জানায়, একনেকের পুরো টাকা হাতে আসার আগেই অর্থ বছরের শেষ পর্যায়ে এসে তড়িঘড়ি করে এতো মোটা অঙ্কের টাকার টেণ্ডার আহবানের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, কুসিক নির্বাচনের তফসিলকে সামনে রেখে সরকারি বরাদ্দের টাকায় উন্নয়নের নামে কুসিকের বর্তমান পরিষদ নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হতো এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তো। টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি সরকারের একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।

কুসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ৯টি প্যাকেজে ৮০ কোটি টাকার টেণ্ডার কার্যক্রম বহাল রেখে অবশিষ্ট ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ৮০ কোটি টাকার মধ্যে একনেকের ৭৫ কোটি ও ৫ কোটি কুসিকের নিজস্ব তহবিলের।

কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু জানান, কুসিক নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি। তাই আমাদের টেন্ডার আহবান প্রক্রিয়ায় কোনো আইনগত জটিলতা ছিল না। একনেকের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে হয়, তাই আমরা টেণ্ডার আহবান করেছিলাম। তবে ৭৫ কোটি টাকা এরই মধ্যে আমাদের হাতে চলে আসায় টেন্ডার কার্যক্রম বহাল রাখা হয়েছে। স্থগিত করা ৩৩২ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম কুসিক নির্বাচনের পর নির্বাচিত মেয়রের মাধ্যমে শুরু করা হবে।