০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“তুমি যে জলের জলতরঙ্গ”

  • তারিখ : ১০:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • / 910

মনির হোসেন জাদু ।।

স্রোতের আবর্তে জোয়ার ভাটায় ঘুরছে একাকার মহা জলরাশি,
গাঁয়ের মেঠো পথ থেকে তোমার গলি,

গলি থেকে রাজপথ কোথাওনা কোথাও মিলেছে সভ্যতার মহাসড়ক!

নোনা জলে ভাসে দু’নয়ন- আজ আমার কাল তোমার!
আমি সেই ‘কুমার’ নদের অতলে স্রোত;তুমি যার জলতরঙ্গের ঢেউ,

আমি সেই আকাশ সুনীল;যেথায় তোমার পাখির মন মেঘ হয়ে দিগন্তে উড়াল!

আমি সেই সময়ের প্রিয়জন যার হাতে মুছিয়ে নিতে অভিমানের অভিসারের অশ্রুসজল!

সময়ের আবর্তে দিন মাস বছর পেরিয়ে বিরামহীন উলটপালটে মহাকালের বালুঘড়ি!

জনারণ্যের মেলায় পথ হারিয়েছে যে শিশু; বেলা শেষে সেও নিঃসঙ্গ দিগ্বিদিক পথ হাতড়ে বেড়ায় জলভরা চোখে!

কোলাহল মুখর আলোকোজ্জ্বল রজনীর আতশবাজির প্রতিধ্বনিতে আমি এক বধির!

মানুষের ভিড়ে আমি নিঃসঙ্গতায় নিজেকে লুকাই!
শেষ রজনীর উল্লাসের উচ্ছিষ্ট স্তুপে আমার জলভরা চোখ বাহারী আলোতে খেলে যায়!

আমি সেই সময়ের প্রিয়জন যার হাতে মুছিয়ে নিতে অভিমানের অভিসারের অশ্রুসজল!

উচ্ছল কিশোরীর নুপূর পথের ধুলায় রাঙিয়ে যায়!
মৌনতায় এক কিশোর পিছুপিছু সজাগ পথচলে- দিগন্তের কাছে চিৎকার করে প্রতিধ্বনিতে কাঁপিয়ে বলতে চায়,” হে মহাকাল থমকে যাও,হে সূর্য আঁধারে ডুবে যেয়ো না”!
সন্ধ্যা আবীরে ঢেকে যায় চরাচর !

ঘাটের নদে পা ধুয়ে, হাতেহাত রেখে বাড়ির পথ ধরে!
কালের আঁধারে মিশে গিয়ে আলোকোজ্জ্বল রজনীতে সে বাঁধন খুলে যায় চিরতরে!

আমি বিরহ-মিলনের সেই ‘কুমার’ নদের ঘাটে আজও স্মৃতিবিস্মৃতির অতলে ডুবে থাকি!

আমার চোখের জল কেউ মুছে দেয়না, কেউ কখনো মুছেনি!
আমি সেই নদের অতলে বয়ে চলা এক ধীর স্রোত;অধীর আনন্দঘন জীবনে আজ তুমি অস্হির জলতরঙ্গের ঢেউ!

শেয়ার করুন

“তুমি যে জলের জলতরঙ্গ”

তারিখ : ১০:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

মনির হোসেন জাদু ।।

স্রোতের আবর্তে জোয়ার ভাটায় ঘুরছে একাকার মহা জলরাশি,
গাঁয়ের মেঠো পথ থেকে তোমার গলি,

গলি থেকে রাজপথ কোথাওনা কোথাও মিলেছে সভ্যতার মহাসড়ক!

নোনা জলে ভাসে দু’নয়ন- আজ আমার কাল তোমার!
আমি সেই ‘কুমার’ নদের অতলে স্রোত;তুমি যার জলতরঙ্গের ঢেউ,

আমি সেই আকাশ সুনীল;যেথায় তোমার পাখির মন মেঘ হয়ে দিগন্তে উড়াল!

আমি সেই সময়ের প্রিয়জন যার হাতে মুছিয়ে নিতে অভিমানের অভিসারের অশ্রুসজল!

সময়ের আবর্তে দিন মাস বছর পেরিয়ে বিরামহীন উলটপালটে মহাকালের বালুঘড়ি!

জনারণ্যের মেলায় পথ হারিয়েছে যে শিশু; বেলা শেষে সেও নিঃসঙ্গ দিগ্বিদিক পথ হাতড়ে বেড়ায় জলভরা চোখে!

কোলাহল মুখর আলোকোজ্জ্বল রজনীর আতশবাজির প্রতিধ্বনিতে আমি এক বধির!

মানুষের ভিড়ে আমি নিঃসঙ্গতায় নিজেকে লুকাই!
শেষ রজনীর উল্লাসের উচ্ছিষ্ট স্তুপে আমার জলভরা চোখ বাহারী আলোতে খেলে যায়!

আমি সেই সময়ের প্রিয়জন যার হাতে মুছিয়ে নিতে অভিমানের অভিসারের অশ্রুসজল!

উচ্ছল কিশোরীর নুপূর পথের ধুলায় রাঙিয়ে যায়!
মৌনতায় এক কিশোর পিছুপিছু সজাগ পথচলে- দিগন্তের কাছে চিৎকার করে প্রতিধ্বনিতে কাঁপিয়ে বলতে চায়,” হে মহাকাল থমকে যাও,হে সূর্য আঁধারে ডুবে যেয়ো না”!
সন্ধ্যা আবীরে ঢেকে যায় চরাচর !

ঘাটের নদে পা ধুয়ে, হাতেহাত রেখে বাড়ির পথ ধরে!
কালের আঁধারে মিশে গিয়ে আলোকোজ্জ্বল রজনীতে সে বাঁধন খুলে যায় চিরতরে!

আমি বিরহ-মিলনের সেই ‘কুমার’ নদের ঘাটে আজও স্মৃতিবিস্মৃতির অতলে ডুবে থাকি!

আমার চোখের জল কেউ মুছে দেয়না, কেউ কখনো মুছেনি!
আমি সেই নদের অতলে বয়ে চলা এক ধীর স্রোত;অধীর আনন্দঘন জীবনে আজ তুমি অস্হির জলতরঙ্গের ঢেউ!