মো: ওমর ফারুক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনার প্রভাবে মৎস্য খামার ও রেনুপোনা উৎপাদন কারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো লোকসানের মধ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ মাছ চাষী ও রেনুপোনা উৎপাদন কারীদের। সারা দেশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দূর চিন্তায় রয়েছে তারা -সময় মত উৎপাদিত মাছ ও রেনুপোনা বিক্রি করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে তাদের। সংকট নিরসনে মাছ ও মাছের পোনা বাজারজাতকরণে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন খামারীরা।
উপজেলা বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন হ্যাচারির দায়িত্ব রত ডাক্তার – উৎতম কুমার বলেন- এই হ্যাচারির আওতায় রয়েছে -পুকুর, ব্যাড়িসহ ১২০- থেকে১৩০ টি খামার। শুধু চেয়ারম্যান বাড়ীর হ্যাচারিতে প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার টাকার খাদ্য দিতে হয় মাছের জন্য। ১৯৯০ সাল থেকে এখানে মাছের বীজ উৎপাদন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে এই খামার। বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা এসে এখান থেকে বীজের মাছ ও রেনুপোনা কিনে নিয়ে যায়। কয়েক শত একর জায়গার উপর গড়ে তুলেছেন মাছের খামার।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই হ্যাচারিতে রেনুপোনা মাছ উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতের সাথে আমি জড়িত। হ্যাচারির মালিক যিনি তিনি হলেন,একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধি। মৎস্য খাতে অবদানের জন্য সরকার তাকে একাধিক বার স্বর্ণ পদক দিয়েছে। এই দুর্যোগেও যারা সাহস নিয়ে উৎপাদনে গেছেন, উৎপাদিত পোনা নিয়ে তারাও পড়েছেন বিপাকে। মৎস্যখাতের এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি চাষের রেনুপোনার গাড়ী গুলোকে যাতায়াত করতে অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। ছাটিতলা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী বিসমিল্লাহ মৎস্য খামারের মালিক বাছির উদ্দিন বলেন, তার ১শ ৫৯ একর জায়গার মধ্যে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি।
এখন বিক্রি করার জন্য কয়েকশ টন মাছ রয়েছে তার কাছে। করোনার কারনে যানবাহন না থাকায় পাইকার আসতে পারছেনা। প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার মাছের খাদ্য ও শ্রমিকের বেতন দিতে হয়। সরকারের সার্বিক সহযোগীতা ছেয়েছেন তিনি। আরেক মাছ চাষী রিদয়ানুল হক সুমন বলেন, তার কাছে বিক্রি করার মত মাছের অভাব নাই। অভাব শুধু ক্রেতার। এখন ব্যাংক ঋন, শ্রমিকের ও মাছের খাবার দিতে অর্থ নেই। করোনার প্রভাবে এখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বিসমিল্লাহ হ্যাচারির মালিক, জেলা মৎস্য ফিস মালিক সমিতির সভাপতি এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোন আবাদি জমি যেনো খালি না থাকে। মাছ চাষ যেন বন্ধ না হয়।
এজন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। মাছ এদেশে আমিষের চাহিদা পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। মৎস্য মন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষন করছি, যারা রেনুপোনা উৎপাদন ও মাছ চাষীদের যানবাহন গুলো যেন চলাচল করতে এজন্য জেলা মৎস্য অফিস থেকে তাদরকে একটি পরিচয় পত্র দেয় যেন। তাতে করে সঠিক মাছ চাষীরা প্রণোদনা সহজে পাবে। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, লক ডাউনের আওতার বাহিরে মৎস্য কাজে নিয়োজিত যানবাহন। এরপর যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি সহযোগীতা করব।