নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট দক্ষিন ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামে আবুল কাশেম মোল্লা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মেয়ে জেসমিন আক্তার ও জামাতা পেয়ার আহম্মেদকে থানা পুলিশ আটক করে।
বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। বুধবার সন্ধ্যায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে শাহীন আলম বাদী হয়ে বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তুলাতুলি গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের পুত্র নিহত আবুল কাশেম মোল্লার ৬ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। পুত্র শাহীন আলম দীর্ঘ দিন যাবৎ চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে, মা-বাবার সাথে তার তেমন কোন যোগাযোগ নেই।
নিহত আবুল কাশেম মোল্লা বাড়ীতে আধাপাকা একটি ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে অর্থ সংকটে পড়ে শেষ করতে না পারায় তার মেয়ে ফরিদা আক্তারের নিকট বশত বাড়ির দুই শতক জমি বিক্রি করেন। বুধবার বিকেলে নাঙ্গলকোট সাবরেজিস্ট্রি অফিসে জমি দলিল করে দিয়ে বাড়ীতে গেলে কেন জমি বিক্রি করেছে এ ক্ষোভে অপর মেয়ে জেসমিন আক্তার তার পিতা আবুল কাশেম মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
গুরুতর আহত আবুল কাশেম মোল্লাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত জেসমিন আক্তারকে প্রথমে একই ইউনিয়নের বেল্টা গ্রামে এক প্রবাসীর নিকট বিয়ে দেয়, ওই সংসারে তার ১৩ ও ১৫ বছরের ২পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৫ বছর পূর্বে পারিবারিক কলহে ওই স্বামীকে তালাক দেয় জেসমিন।
পরে গত ২ মাস পূর্বে তার বিয়ে হয় মন্তলী গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে পেয়ার আহম্মদের সাথে। জেসমিনের স্বামী পেয়ার আহম্মদ তার ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় কয়েক বছর পূর্বে তাকে বাড়ী ছাড়া করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ নিহতের মেয়ে জেসমিন আক্তার, তার স্বামী পেয়ার আহমেদ, বড় মেয়ে রিনা আক্তার ও নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় বড় মেয়ে রিনা ও তার মা ফিরোজা বেগমকে ছেড়ে দেয়া হয়।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়ে জেসমিন আক্তার ও তার স্বামী পেয়ার আহম্মদকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।