০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার বেপরোয়া বোগদাদ বাসের ধাক্কায় অসহায় ভ্যান চালকের মৃত্যু কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সদর দক্ষিণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের খাদ্য বিতরণ

পুলিশ লাইন স্কুলে বীর কাহিনী শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা

  • তারিখ : ০৬:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 1224

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ে বীরের কন্ঠে বীর কাহিনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো: মোমনিুল হক। পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার ওই অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি কাজী মো: মোমিনুল হক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পটভূমি তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধ কেন সংগঠিত হয়েছিলো তার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান এ দেশকে শোষণ করে পশ্চিম পাকিস্থানের উন্নয়ন করতো। ১৯৭১ সালে তিনি যখন ভিক্টোরিয়া  কলেজের ছাত্র ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও হত্যার বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যখন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে টিকতে পারচিলেননা, ঠিক তখন এদেশকে মেধাশূণ্য করার জন্য রাতের আধারে দেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করেন। শুধু হত্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এমন ভাবে তাদের দেহ ও চেহারা বিকৃত করেছিলেন যেন পরিবারের লোকজন তাদের খোজে না পায় ও চিনতে কষ্ট হয়। তাদের বর্বর কাজে সহযোগিতা করেছিলো রাজাকার আলবদর বাহিনী। রাজাকার ও আলবদর বাহিনীই বুদ্ধিজীবীদের বাড়িঘর চিনিয়ে দেয় এবং সহযোগিতা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, মো: কবির আহম্মেদ, মো: দুলাল হোসেন, মো: শওকত আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: আসাদুর রহমান খান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো: মোমিনুল হকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলেদেন প্রধান শিক্ষক মো: তফাজ্জল হোসেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।

শেয়ার করুন

পুলিশ লাইন স্কুলে বীর কাহিনী শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা

তারিখ : ০৬:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ে বীরের কন্ঠে বীর কাহিনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো: মোমনিুল হক। পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার ওই অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি কাজী মো: মোমিনুল হক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পটভূমি তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধ কেন সংগঠিত হয়েছিলো তার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান এ দেশকে শোষণ করে পশ্চিম পাকিস্থানের উন্নয়ন করতো। ১৯৭১ সালে তিনি যখন ভিক্টোরিয়া  কলেজের ছাত্র ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও হত্যার বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যখন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে টিকতে পারচিলেননা, ঠিক তখন এদেশকে মেধাশূণ্য করার জন্য রাতের আধারে দেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করেন। শুধু হত্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এমন ভাবে তাদের দেহ ও চেহারা বিকৃত করেছিলেন যেন পরিবারের লোকজন তাদের খোজে না পায় ও চিনতে কষ্ট হয়। তাদের বর্বর কাজে সহযোগিতা করেছিলো রাজাকার আলবদর বাহিনী। রাজাকার ও আলবদর বাহিনীই বুদ্ধিজীবীদের বাড়িঘর চিনিয়ে দেয় এবং সহযোগিতা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, মো: কবির আহম্মেদ, মো: দুলাল হোসেন, মো: শওকত আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: আসাদুর রহমান খান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো: মোমিনুল হকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলেদেন প্রধান শিক্ষক মো: তফাজ্জল হোসেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।