০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঘরের তালা ভেঙে চুরি

ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

  • তারিখ : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 689

সুনীল নারাইনের রেকর্ড ভাঙা ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়ে হেসে খেলেই ফাইনালে উঠে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণের লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৯ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা নারাইন মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করে দ্রুতই চালকের আসনে নিয়ে যান কুমিল্লাকে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৯.১ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪৮ রান। দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও জাকির হোসেন মারকুটে সূচনা এনে দিলেও ইনিংসের ৪র্থ ওভারে শরিফুলের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন উইল। ২য় উইকেট জুটিতে চ্যাডউইক ওয়াল্টন খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। তানভীরের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও।

দলীয় ৪৩ রানে মঈন আলীর স্পিন ধাঁধার শিকার হন ৯ বলে ২০ রান করা ওপেনার জাকির হোসেন। এরপর অধিনায়ক আফিফ ও শামিম হোসেন দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সুবিধে করতে পারেননি দু’জনের কেউই।

টপঅর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডলঅর্ডারে এসে চট্টগ্রামের কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হন মেহেদি হাসান মিরাজ ও উইকেটরক্ষক আকবর আলী। তাদের ৭৭ রানের পার্টনারশিপ যখন বড় স্কোরের আশা জাগাচ্ছিলো চট্টগ্রাম সমর্থকদের মনে, তখনই আঘাত হানেন আরেক আকবর- আলী আকবর। তার মোক্ষম আঘাতে সাজঘরের পথ ধরেন আকবর আলী।

এরপর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি ৪৪ রান করা মিরাজ, শরিফুলের বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। এরপর ব্যাটিং করতে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ছাড়া আর কেউই সংগ্রহ করতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানে শেষ হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস।

১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যুক্ত হওয়ার আগেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর তো নারাইন ঝড়। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ১৩ বলে হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক। এর মাধ্যমে বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড নিজের নামে করে নিলেন তিনি। এরপর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে ফিরে গেলেও ইমরুল কায়েস, ডু প্লেসি ও মঈন আলীদের ব্যাটে সহজেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। ইমরুল ২৪ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেও মঈন আলী ১৩ বলে ৩০ ও ডু প্লেসি ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতক করা নারাইনের হাতেই যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে?

শেয়ার করুন

ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

তারিখ : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সুনীল নারাইনের রেকর্ড ভাঙা ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়ে হেসে খেলেই ফাইনালে উঠে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণের লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৯ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা নারাইন মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করে দ্রুতই চালকের আসনে নিয়ে যান কুমিল্লাকে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৯.১ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪৮ রান। দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও জাকির হোসেন মারকুটে সূচনা এনে দিলেও ইনিংসের ৪র্থ ওভারে শরিফুলের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন উইল। ২য় উইকেট জুটিতে চ্যাডউইক ওয়াল্টন খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। তানভীরের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও।

দলীয় ৪৩ রানে মঈন আলীর স্পিন ধাঁধার শিকার হন ৯ বলে ২০ রান করা ওপেনার জাকির হোসেন। এরপর অধিনায়ক আফিফ ও শামিম হোসেন দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সুবিধে করতে পারেননি দু’জনের কেউই।

টপঅর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডলঅর্ডারে এসে চট্টগ্রামের কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হন মেহেদি হাসান মিরাজ ও উইকেটরক্ষক আকবর আলী। তাদের ৭৭ রানের পার্টনারশিপ যখন বড় স্কোরের আশা জাগাচ্ছিলো চট্টগ্রাম সমর্থকদের মনে, তখনই আঘাত হানেন আরেক আকবর- আলী আকবর। তার মোক্ষম আঘাতে সাজঘরের পথ ধরেন আকবর আলী।

এরপর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি ৪৪ রান করা মিরাজ, শরিফুলের বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। এরপর ব্যাটিং করতে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ছাড়া আর কেউই সংগ্রহ করতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানে শেষ হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস।

১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যুক্ত হওয়ার আগেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর তো নারাইন ঝড়। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ১৩ বলে হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক। এর মাধ্যমে বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড নিজের নামে করে নিলেন তিনি। এরপর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে ফিরে গেলেও ইমরুল কায়েস, ডু প্লেসি ও মঈন আলীদের ব্যাটে সহজেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। ইমরুল ২৪ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেও মঈন আলী ১৩ বলে ৩০ ও ডু প্লেসি ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতক করা নারাইনের হাতেই যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে?