স্টাফ রিপোর্টার :
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে এবার পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে তরুন প্রার্থী হাজী শামীম হোসেনকে নিয়ে ভাবছে ভোটাররা। আসন্ন নির্বাচনের এখনো তফসিল ঘোষণা করা না হলেও নির্বাচন খুব নিকটে হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে দলের হেভিওয়েট নেতাদের দ্বারে দ্বারে দৌঁড়ঝাপ করছে। তবে ভিন্ন পথে হাটছেন এ পৌরসভার তরুন মেয়র প্রার্থী হাজী মো: শামীম হোসেন। কোন দলের মনোনয়ন নয়, স্বতন্ত্র থেকে লড়বেন পৌরবাসীর এ প্রিয়মুখ। অন্য সকল প্রার্থীরা যখন মনোনয়ন দৌড়ে ব্যস্ত ঠিক তেমনি মুহুর্তে
নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার উন্নয়ন এবং ভোটারদের সাথে মেলবন্ধনে ব্যস্ত এ প্রার্থী। নানা সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড, মাদক বিরোধী প্রচারনা, বৃক্ষরোপন, গরীব এতিম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যয়ভার গ্রহন, কন্যা দায় গ্রস্থ পিতার পাশে দাঁড়ানো, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সর্বোপরী জনকল্যান মুলক কাজ করে হাজী শামীম এখন পৌরবাসীর প্রিয়জন। আসছে নির্বাচনে তাকে ঘীরেই একাট্রা হচ্ছে এ পৌরসভার অধিকাংশ ভোটাররা।
জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চান্দিনা পৌরসভার অবস্থান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাগজে কলমে ধাপে ধাপে পৌরসভার মান উন্নয়ন হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে পৌরবাসীর করের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্ত পৌরবাসীর কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পুরন করতে পারেনি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত মেয়ররা। দীর্ঘ বছর যাবত পৌরবাসী পরিবর্তনের সুযোগ খুঁজছে। এরই মাঝে গত কয়েক বছর যাবত জনকল্যান মুলক কর্মকান্ড নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের হারং এলাকার প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী নুরুল ইসলাম ডিলার ও মা সমাজ
সেবিকা সুফিয়া খাতুনের সুযোগ্য সন্তান হাজী শামীম হোসেন। তিনি চান্দিনা বাজারের মেসার্স রাহা ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্তাধিকারী। সৎ, মেধাবী, শিক্ষিত, ক্লিন ইমেজের এ ব্যবসায়ী দীর্ঘ বছর যাবত এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিচরণ করছেন।
জনসাধারনের পাশে থেকে নিজস্ব অর্থায়নে সামাজিক এবং নানা উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মাঝে চান্দিনা পৌরবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং এ পৌরসভার নেতৃত্বের পরিবর্তনের দাবিতে হাজী শামীম হোসেন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।
অন্যকোন প্রার্থী এখনো ভোটারদের কাছে না গেলেও হাজী শামীম প্রতিদিনই ঘুরছেন পৌরসভার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এ যেন পৌরবাসীর সাথে এক
সেতুবন্ধন। এদিকে আওয়ামীলীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি, বিএনপিতে রয়েছে নানা হতাশা, জাতীয় পার্টি-এলডিপিও দিচ্ছে তাদের নিজস্ব প্রার্থী। এ ছাড়া রাজনৈতিক
দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে সাধারণ ভোটাদের কল্যানে সন্তুশজনক ভূমিকা রাখতে পারছেন না বলে অভিযোগ পৌরবাসীর। এমন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব
অর্থায়নে জনকল্যান মুলক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন তরুন ব্যবসায়ী হাজী শামীম হোসেন। পরিবার এবং নিজের ক্লিন ইমেজসহ জনসমর্থনকে কাজে লাগিয়ে আসছে নির্বাচনে তিনি পৌর পিতার আসনে অধিষ্টিত হতে ব্যপক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চলমান করোনা ভাইরাসে পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডে ২২শ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এ ব্যবসায়ী। এছাড়া প্রতি বছরই শীতার্ত মানুষের পাশে
দাঁড়িয়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। গত শীতে তিনি ১২শ পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এলাকার ভোটাররা জানান, সূষ্ঠূ নির্বাচন হলে মেয়র পদে হাজী শামীম হোসেন বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুষ্ঠূ সুন্দর পরিবেশে ভোটাধিকার
প্রয়োগের দাবি এ পৌরবাসীর।
এবিষয়ে মেয়র প্রার্থী হাজী মো: শামীম হোসেন বলেন, পৌরবাসীর সুখে দু:খে পাশে দাঁড়িয়েছি, আমি নাগরিকদের মনের ভাষা বুঝি, তারা মন খুলে আমার সাথে কথা বলতে পারে, সুবিধা-অসুবিধা আমার সাথে শেয়ার করতে পারে, তাই তারা আমাকে কাছের
এবং নিজেদের মানুষ মনে করে, পৌরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতেই আমি প্রার্থী হয়েছি, কোন দলের প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বি মনে করি না, জনগন যদি তাদের ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে পারে তাহলে আমার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।