১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঘরের তালা ভেঙে চুরি

মোবাইল ফোনের জন্য খুন হয় মায়ামীর হোটেলের কর্মচারী জোবায়ের

  • তারিখ : ০৬:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • / 531

মো.জাকির হোসেন :
কুমিল্লা আলেখারচর এলাকার মিয়ামী হোটেলের কর্মচারী সুমন আহমেদ ওরফে জোবায়ের (৩২) কে মোবাইল ফোনের জন্য খুন করা হয়। গতকাল শনিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক ঘাতকরা আদালতে খুনের কথা স্বীকার করেন। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘাতকদের আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ।

জানা যায়, গত ২৯ মে লকডাউনের পর পুনরায় কাজের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ থেকে বিকাল ৫টায় আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসে জোবায়ের। হোটেলের কাজ শেষে রাত ১০ টায় জমজম হোটেল থেকে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসার সময় কোকা-কোলা কোম্পানীর কাছে আসলে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা জোবায়েরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাধা দিলে জোবায়েরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই জুবায়েররে মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জোবায়ের এর পিতা তাজির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে গত ২০ জুলাই কোতয়ালী থেকে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর হয়। মামলার তদন্তভার পরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশের উপর। পরে দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ক্লু-লেস মামলার আসামী গ্রেফতার করে খুনের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ। আটক আসামীরা হলেন সদর দক্ষিন উপজেলার আশ্রাফপুর ইয়াছিন মার্কেট এলাকার মৃত আবু জাহেরের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন ও দেবিদ্বার উপজেলার মাশিঘারা এলাকার মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নূরে আলম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিমল দাশ জানান, হত্যার ঘটনাটি রহস্যঘেরা ছিলো। তেমন কোন ক্লু ছিলো না। পরে আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেই। পরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করি। পরে আসামীদেরকে আদালতে সোর্পদ করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা মোবাইল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাতসহ হত্যা কথার স্বীকার করে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন

মোবাইল ফোনের জন্য খুন হয় মায়ামীর হোটেলের কর্মচারী জোবায়ের

তারিখ : ০৬:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

মো.জাকির হোসেন :
কুমিল্লা আলেখারচর এলাকার মিয়ামী হোটেলের কর্মচারী সুমন আহমেদ ওরফে জোবায়ের (৩২) কে মোবাইল ফোনের জন্য খুন করা হয়। গতকাল শনিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক ঘাতকরা আদালতে খুনের কথা স্বীকার করেন। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘাতকদের আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ।

জানা যায়, গত ২৯ মে লকডাউনের পর পুনরায় কাজের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ থেকে বিকাল ৫টায় আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসে জোবায়ের। হোটেলের কাজ শেষে রাত ১০ টায় জমজম হোটেল থেকে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসার সময় কোকা-কোলা কোম্পানীর কাছে আসলে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা জোবায়েরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাধা দিলে জোবায়েরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই জুবায়েররে মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জোবায়ের এর পিতা তাজির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে গত ২০ জুলাই কোতয়ালী থেকে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর হয়। মামলার তদন্তভার পরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশের উপর। পরে দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ক্লু-লেস মামলার আসামী গ্রেফতার করে খুনের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ। আটক আসামীরা হলেন সদর দক্ষিন উপজেলার আশ্রাফপুর ইয়াছিন মার্কেট এলাকার মৃত আবু জাহেরের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন ও দেবিদ্বার উপজেলার মাশিঘারা এলাকার মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নূরে আলম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিমল দাশ জানান, হত্যার ঘটনাটি রহস্যঘেরা ছিলো। তেমন কোন ক্লু ছিলো না। পরে আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেই। পরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করি। পরে আসামীদেরকে আদালতে সোর্পদ করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা মোবাইল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাতসহ হত্যা কথার স্বীকার করে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।