কুবি প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ, হুমকি ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ উঠেছে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত চিঠিতে এ অভিযোগ করা হয়। রোববার রেজিস্ট্রার দপ্তরসূত্রে বষয়টি জানা যায়।
গত বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে দেয়া এ চিঠিসূত্রে জানা যায়, ১৪ মার্চ বিকাল ৫টায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাথে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ব্যাডমিন্টন খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি। তখন খেলোয়াড়রা মাঠে নামলে সন্ধ্যা ৭ খেলা হবে বলে আশ্বাস দিলে খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে উঠে আসে। ২ ঘন্টা অপেক্ষমান থাকার পর সন্ধ্যা ৭টায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের খেলোয়াড়রা পুনরায় খেলতে নামার পর প্রতিপক্ষ দল অনুপস্থিত ছিল।
এসময় টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবকে সিদ্ধান্ত জানাতে বললে এক পর্যায়ে মারমুখী ভঙ্গিতে উচ্চ বাচ্য কথা বলতে শুরু করেন। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “আমি যেভাবে বলি সেভাবে চলবে, কার সাহস ও ক্ষমতা আছে দেখি তোমাদের খেলা কে চালায়। আমার যখন ইচ্ছা তখন খেলা চালাবো। এখন কোন খেলা চলবে না।” এরপর তিনি মাঠ ছেড়ে চলে আসেন। পরে বিভাগের সকল খেলোয়াড় ও অপেক্ষামান বিভাগের দর্শকরা মাঠ ছেড়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান সোসাইটির সহ সভাপতি মুনিম ভূঁইয়া বলেন, “তিনি তার ইচ্ছে মতো খেলার সময় পরিবর্তন করেন। আবার নিয়ম অনুসারে ঠিক সময়ে খেলোয়াড় উপস্থিত না হলে উপস্থিত দলকে বিজয়ী ঘোষণা করার কথা। সে জায়গায় তিনি আমাদের খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে অশোভন আচরণ, হুমকি ও দেখে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।”
অভিযুক্ত মনিরুল আলম জানান, খেলার মধ্যে প্রতিপক্ষ দল কেন উপস্থিত ছিলনা আমি জানিনা। তবে খেলার মধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে আমার এই বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমি এই বিষয়ে খুবই অনুতপ্ত।
এই বিষয়ে নৃ্বজ্ঞিান বিভাগের সভাপতি এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেইদিন খেলাধুলা করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে উপস্থিত ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ খেলায় উপস্থিত ছিলনা। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মনিরুল আলমের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এক সময়ে সেই শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাই শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ ছিলো আমি এ বিষয়ে কথা বলবো। এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর আমি চিঠি পাঠাবো।