নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর বাজার সংলগ্ন দূর্গাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইদ্রিস মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে মলেখা আক্তার মনু নামের এক মহিলাকে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি এবং মলেখা আক্তার মনু ও তার সহযোগিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইদ্রিস মিয়ার পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইদ্রিস মিয়ার পরিবারের লোকজন বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ইদ্রিস মিয়া সৌদি আরব থেকে দেশে এসে লকডাউনে আটকা পড়েন।
দীর্ঘদিন বাড়িতে অবসর (বেকার) থাকার পর আলেকদিয়া রুটে নিজগ্রাম দূর্গাপুরে চা-বিস্কুটসহ ভেরাইটিস একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এ দোকানের পাশেই দূর্গাপুরের মলেখা আক্তার মনু ও তার বান্ধবী সুমি মাদক ব্যবসার আস্তানা গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে ইদ্রিস মিয়ার দোকান ব্যবহার করে মনি ও সুমির সাথে মাদক ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেয়। ইদ্রিস মিয়া তাদের মাদক ব্যবসায় সাড়া না দিয়ে অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
এরপর থেকেই এদের সাথে ইদ্রিস মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। মনুর স্বামী সুজনও বিভিন্ন অপরাধের দায়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ইদ্রিস মিয়ার দোকানের বাকেয়া টাকা নিয়ে মনু’র সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
তুচ্ছ ঝগড়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মনু ও সুমি’র দুই শিশুকে জড়িয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো অভিযোগ এনে থানায় একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দায়ের করেছে বলে শুনছি। মূলত মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মলেকা আক্তার মনু আমাদের পরিবারকে হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ মামলা দায়ের করেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমের প্রকৃত রহস্য (সত্য) উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি মনু ও সুমি’র অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বোপরি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে এবং চিরতরে ওই এলাকা থেকে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।