মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
করোনাকালীন এ তীব্র অক্সিজেন সংকটময় করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর অক্সিজেন সেবায় টিম ওয়ারিয়র্স কাজ করছে। এই সংকটময় সময়ে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। হাসপাতাল গুলো হিমসিম খাচ্ছে রোগীর চিকিৎসা দিতে। করোনা ইউনিটে বেড খালি নেই। চারদিকে যেন মৃত্যুর মিছিল।
এ অবস্থায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ৬ জনের একদল তরুণ-তরুণী ( নাঈম, তোফায়েল, আল-আমিন , শিপন, তানজিনা নিলিমা, নাহিদ) এগিয়ে এসেছেন। যাদের প্রত্যেকেই শিক্ষার্থী।
শুধুমাত্র দৃঢ় মনোবল নিয়ে একযোগে কাজ করে চলছেন টিম ওয়ারিয়র্স এর ‘প্রজেক্ট শ্বাস, জীবনের জন্য’তে। তারা করোনা রোগীদের এমার্জেন্সিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। ‘সারা দেশের মতো সদর দক্ষিণেরও করোনা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার উপহার পাওয়া স্বস্থির বিষয়।
এ টিমে কেউ দিচ্ছেন সুদূর থেকে নেতৃত্ব, কেউ করছেন ফান্ড কালেকশন, কেউ নিচ্ছেন রোগীর খোঁজ-খবর। তাদের পথচলাটা ছিল শূন্য হাতে, তবে বর্তমানে তাদের রয়েছে ৯ টি সিলিন্ডার।
এ সংকটময় সময়ে তাদের এ কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন অনেক সেচ্ছাসেবী তাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন।
টিমের সমন্বয়ক নাঈম কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে জানান , আপাতত ০৯ টি সিলিন্ডার দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। চারদিক থেকে প্রচুর ফোন আসছে। অক্সিজেনের হাহাকার দেখছি। আমরা ফোন পাওয়ার সাথে সাথে ঠিকানা জেনে যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেন পৌছে দিচ্ছি। আমাদের রয়েছে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী সদস্য। যারা দিন রাত পরিশ্রম করছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হলে তা সংগ্রহ করা, খালি সিলিন্ডার রিফিল করা, ফোন কল রিসিভ করা, বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়াসহ প্রত্যেকটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা সদস্য রয়েছেন।
আমরা এ পর্যন্ত প্রায় পনেরো-বিশ জন মানুষকে এ সেবার আওতায় এনেছি। অক্সিজেনের অভাবে যাতে কোন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়েন সে দিকে শতভাগ খেয়াল রাখছি। তবে সিলিন্ডারের স্বল্পতার জন্য সবার পাশে দাঁড়াতে পারছি না । সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।